চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত পরিশোধ ছাড়া নবায়ন নয়
Published: 26th, June 2025 GMT
চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ সমন্বয় না করে নবায়ন করছে ব্যাংক। অনেক সময় বাড়তি অংশ পরিশোধ না করে আলাদা ঋণ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে চলমান ঋণের এক টাকাও পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহক। গতকাল এক সার্কুলারের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ না করে অন্য কোনো
উপায়ে নবায়ন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চলমান ঋণ পরিশোধ না করে নিয়মিত থাকার সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কোনো
একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ হয়তো ১ হাজার কোটি টাকার ঋণসীমা নিয়েছে। মূলত ব্যবসায়ী প্রয়োজনে নির্ধারিত সীমার মধ্যে তিনি পরিশোধ করবেন, ঋণ নেবেন– এটা নিয়ম। বছর শেষে পুরো ঋণ সমন্বয় করবেন
কিংবা নির্ধারিত সীমার আলোকে পরিশোধ করবেন। তবে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তা না করে বছর শেষে হয়তো সুদসহ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। তখন বর্ধিত অংশ আলাদা একটি ঋণে রূপান্তর করে পুরোটা নবায়ন করে নিচ্ছে। কিংবা ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার নতুন সীমা অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছে। এর ফলে এক টাকা না দিয়ে তার ঋণ নিয়মিত থাকল।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান ঋণ বিদ্যমান মেয়াদের মধ্যে নবায়ন করতে হবে। তবে ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ সমন্বয় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না। চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ মূল ঋণ থেকে আলাদা করে নতুন ঋণ সৃষ্টি বা অন্য কোনো ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে না। সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ করতে হবে।
বিগত সরকারের সময়ে ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালায় শিথিলতা ছিল। গত আগস্টের পর কঠোরতা আরোপ করা হয়। চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর মানে, গত ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় ৩ গুণ হয়েছে। নতুন নীতিমালার ফলে খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে বলে মনে
করেন সংশ্লিষ্টরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঋণ র স ম ত র ক ত অ শ পর শ ধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ