অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”

তিনি আরো বলেন, “পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।”

শুক্রবার (২৭ জুন) সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দুই দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ

‘সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম জ ক ব যবস উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জেলের মরদেহ উদ্ধার

মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী মধুমতী নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় দুইদিন পর শুক্রবার (২৭ জুন)  দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শৌখিন খান (৪০) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

গত বুধবার রাত দুইটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, শৌখিন খান চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও একটি ছেলে আছে। ছেলেটিও অসুস্থ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শৌখিন খান ও হুমায়ুন শেখ নামের একজন স্থানীয় ব্যক্তি চায়না জাল ফেলে মাছ ধরতে নদীতে যান। একই সময় ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও আরও একজন ব্যক্তি একই এলাকায় মাছ ধরছিলেন। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাছ ধরা শেষে শৌখিন ও হুমায়ুন বাড়ি ফিরছিলেন। 

এ সময় শৌখিন খানের নৌকা জব্বার মোল্লার জালের ওপর দিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা বইঠা দিয়ে শৌখিনকে আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।

নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আলী আফজাল বলেন, ‘‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হঠাৎ ঝগড়া বাধিয়ে জব্বার ও রবিউল মোল্লা তাকে মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছে। ভাইয়ের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে দিশাহারা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’’

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালী থানার আওতাধীন, সেহেতু মামলাটি সেখানেই হবে।’’

শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ