পশুর নদীতে অর্ধনিমজ্জিত ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ
Published: 27th, June 2025 GMT
মোংলা বন্দরের পশুর ও মোংলা নদীর মোহনায় অর্ধনিমজ্জিত হয়েছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। তবে যে কোনো সময় এটি নদীতে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে এ্যাংকর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভিকে আলম গুলশান-২ নামক অপর একটি লাইটার কার্গো জাহাজ এ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি নদীতে অর্ধনিমজ্জিত হয়। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটিতে ৯১৪ টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কার্গোর মাস্টার বেল্লাল হোসেন জানান, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। তবে যে কোনো সময় এটি পুরোপুরি ডুবে যেতে পারে। ওই জাহাজে থাকা ১০ জন স্টাফই অন্য নৌযানে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির নহাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
তবে এভাবে একের পর এক পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের জোগান কমতে শুরু করেছে। এতে হতাশায় ভুগছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পার্ট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অনেক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।