জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম চলমান থাকবে : ইউএনও সদর
Published: 28th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, নারায়ণগঞ্জ গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশক্রমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। এই কাজ প্রতিনিয়ত চলমান থাকবে।
শনিবার (২৭ জুন) সারাদিন ব্যাপী ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ফতুল্লার লালপুর এলাকার পানি চলাচল অব্যাহত রাখতে পানি নিষ্কাষন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খাল, ড্রেন ও নালা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
এ ছাড়ও ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, যেহেতু বৃষ্টি মৌসুম আর এখানে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হলে পানি নিষ্কাষনের সুব্যবস্থা হবে।
লালপুরের পাম্প দ্বারা সেচের পানি দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। ফলে বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকার আশংকা থাকবে না। তাই এ ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতে চলমান থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট
শারদীয় দুর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও আশপাশ থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নেমেছে। এতে প্রধান দুটি সড়ক—ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশেও গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে চলার খবর পাওয়া গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধা ঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, “প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।”
শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে। বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, “সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।”
একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”
পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ জিলানী বলেন, “আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”