অনেকেই আছেন সম্পর্কে থাকা অবস্থায় গোপনীয়তার আশ্রয় নেন। সঙ্গীর কাছ থেকে অনেক কিছু লুকান। অথচ সম্পর্ক স্বচ্ছতা খুবই জরুরি। দুজনের মধ্যে কেউ একজন যদি দিনের পর দিন মিথ্যা কথা বলেন তাহলে এক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরে। আপনার সঙ্গী যদি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা কথা বলেন তাহলে সাবধান হোন।  সঙ্গী যদি আপনার কাছে মিথ্যা বলে সেটা বোঝা কঠিন নয়। একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই সঙ্গী মিথ্যে বলছেন নাকি, সেটা ধরে ফেলতে পারেন। যেমন-

মুখভঙ্গি
মিথ্যা বলতে গিয়ে অনেকেরই মুখভঙ্গি বদলে যায়। কেউ ঘন ঘন ঠোঁট কামড়ান, কেউ আবার ঠোঁট চেপে ধরেন। অনেকের মতে, এগুলি মিথ্যা বলার লক্ষণ হতে পারে। 

কথা আটকে যাওয়া
মিথ্যা কথা বললে শরীরের নানান হরমোন একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার সময় কিংবা মিথ্যা কথা বলার সময় একটু আটকে আটকে যেতে পারেন। তাদের কথায় ফ্লো থাকে না। 

হাতের ভঙ্গি
মিথ্যা কথা বলার সময় হাতের ভঙ্গিও বদলে যেতে পারে। সত্যি বলার সময় হাতের ভঙ্গিতে তেমন কোনও বদল আসে না। মিথ্যা বলার সময় হাতের ভঙ্গি বদলে যায়। কারণ মিথ্যা বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাল্পনিক ঘটনা বানাতে হয়। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। তাই হাতের সঞ্চালনে দেরি হয়।

দৃষ্টিতে বদল
মিথ্যা বলার সময় উল্টোদিকের মানুষটির চোখের দিকে সরাসরি তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন। কারণ যারা মিথ্যা কথা বলেন তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। তারা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বল র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

এ রায় ঘোষণা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: ওএইচসিএইচআর

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আজ সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন রাভিনা শামদাসানি।

ওএইচসিএইচআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমরা নির্দেশদাতা ও নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদেরসহ দোষীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আসছি। ভুক্তভোগীদের কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানিয়েছি।’

রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘যেহেতু এই বিচারপ্রক্রিয়ার কার্যক্রমের বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না, তাই আমরা সব জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগগুলো যেন প্রশ্নাতীতভাবে যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করে, সে জন্য ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছি। এটি বিশেষভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন, এ মামলার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচার হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডের শান্তি দেওয়া হয়েছে।’

মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাভিনা শামদাসানি। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সব পরিস্থিতিতে এর বিরোধিতা করি।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সত্য প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও ক্ষত কাটিয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা খাতের অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। আর এ সংস্কার হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, যেন আর কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনা না ঘটে। এসব প্রচেষ্টাগুলোয় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তত রয়েছে ওএইচসিএইচআর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ