বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা
Published: 29th, June 2025 GMT
বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার বিকেলে নগরের টাইগারপাস সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা শুধু জনসচেতনতাই বৃদ্ধি করছি না। লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। যেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন মামলার পাশাপাশি কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গুর নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। বাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বোতল, ডাবের খোসা, পলিথিন বা নির্মাণ সামগ্রীর কনটেইনারে পানি জমে থাকলে এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে। এমনকি এক বা দুই মিলিলিটার পানিতেও এ মশার জন্ম হতে পারে।’
নাগরিকদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, ‘বর্ষার এই সময়ে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাসায় যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্মাণাধীন ভবনের সামগ্রী ঢেকে রাখা, ফুলের টব, এসি পাইপের পানির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তে বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১০টি শয্যা সংরক্ষিত বলে জানান তিনি।
এর আগে সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিসংঘের সম্মেলন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে, আশা নিরাপত্তা উপদেষ্টার
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারের অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। এই সম্মেলন রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ।
২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে কক্সবাজারের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশ এবং জোট মিলিয়ে ৫০টি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, একসময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে। এখন যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই কারণে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের স্বপ্নগুলোকে সে সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোই এ ধরনের সম্মেলনে অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তো আর সদস্য নয়। কিন্তু কাউকে তো তাদের ভয়েসটা নিয়ে যেতে হবে। আমরা এ ধরনের প্রক্রিয়ায় সে কাজটা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।’
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক রাষ্ট্রদূত জানান, কক্সবাজার সম্মেলনের শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।