বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার বিকেলে নগরের টাইগারপাস সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা শুধু জনসচেতনতাই বৃদ্ধি করছি না। লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। যেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন মামলার পাশাপাশি কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।’

সিটি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গুর নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। বাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বোতল, ডাবের খোসা, পলিথিন বা নির্মাণ সামগ্রীর কনটেইনারে পানি জমে থাকলে এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে। এমনকি এক বা দুই মিলিলিটার পানিতেও এ মশার জন্ম হতে পারে।’

নাগরিকদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, ‘বর্ষার এই সময়ে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাসায় যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্মাণাধীন ভবনের সামগ্রী ঢেকে রাখা, ফুলের টব, এসি পাইপের পানির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তে বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১০টি শয্যা সংরক্ষিত বলে জানান তিনি।

এর আগে সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.

ইমরান বিন ইউনুস, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাঈম ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমার জান্তাকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে বেলারুশ: অধিকার গোষ্ঠী

বেলারুশ মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ড্রোন হামলা প্রতিরোধে সহায়তার অংশ হিসেবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে মিয়ানমারের মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমার (জেএফএম)। খবর ইরাবতীর। 

শনিবার জেএফএম জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে চলমান গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগিতার প্রমাণ তারা পেয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, বেলারুশের সঙ্গে জান্তা সরকারের যোগাযোগের ফাঁস হওয়া নথিপত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বেলারুশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেলস্পেৎসভনেশতেকনিকা বিশেষভাবে মিয়ানমারের জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ডের ‘ভি৩ডি রাডার প্রযুক্তি’ এবং ভূমিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। এ ব্যবস্থায় ‘প্যানোরামা অটোমেশন’ এবং ‘ভস্টক থ্রিডি রাডার’ রয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে, বিশেষ করে ড্রোন। এসব ড্রোনই ব্যবহার করছে জান্তার বিরোধী বাহিনী। এ ছাড়া মিয়ানমারের জান্তার সদস্যরা বেলারুশের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড রেডিও ইলেকট্রনিকসে আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করছে। এর লক্ষ্য হলো, নেপিদো এবং মান্দালয়ে জান্তার কারখানাগুলোতে অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো।

২০২১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক প্রস্তাবে মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানানো হলে বেলারুশ এর বিরোধিতা করে। এ বছরের মার্চে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বেলারুশ সফর করেন। গত শুক্রবার তিনি আবার মিনস্কে গিয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে অস্ত্র ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ