নোয়াখালীর চাটখিলে মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ওই মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অধ্যক্ষের বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন চাটখিলের নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন।

অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সচিবের নাম প্রস্তাব করে একটি অ্যাডহক কমিটি জমা দিয়েছেন। ওই কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজ সকালে অভিযোগ তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান।

আশেকে এলাহী অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যখন তদন্ত করছিলেন, তখন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও তাঁর লোকজন হট্টগোল করে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন। তারপর শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে মাদ্রাসা এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে জসিম ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁর গায়ে হাত তোলেন। তিনি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যক্ষের গঠন করা প্রস্তাবিত অ্যাডহক কমিটির বিপক্ষে তাঁরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের তদন্ত আজ হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁর কোনো ঝামেলা হয়নি। অধ্যক্ষকে নাজেহাল ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রচার করছেন।

একই বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা জাকির হোসেন নামের একজনের নাম কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছি। অধ্যক্ষ সেটা বিবেচনায় না নিয়ে সাবেক এক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছেন। অথচ ওই ব্যক্তি ঠিকমতো এলাকায় আসেন না। এলাকার কেউই তাঁকে ওই দায়িত্বে দেখতে চান না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যক্ষ তাঁকে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বিস্তারিত শুনে তাঁকে পুরো ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত প রস ত ব তদন ত য বদল ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র