কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ‘নেপথ্যে’র ব্যক্তি হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শাহ পরান ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আলীর ছোট ভাই।

আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শুনানি শেষে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানির সময় শাহ পরান আদালতে হাজির ছিলেন। কুমিল্লার আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, শাহ পরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমীন। আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। শুনানি শেষে শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরে আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা পরে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে হেফাজতে নেবেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলা এলাকা থেকে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাবের সদস্যরা। এরপর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে র‍্যাব। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুরাদনগর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে মুরাদনগর থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। এ মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামে সুদের বিনিময়ে দেওয়া টাকার খোঁজ নিতে এসে খালি বাড়ি পেয়ে ফজর আলী নামের ওই ব্যক্তি প্রথমে ভুক্তভোগীর বাবার টিনের ঘরটির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। বিষয়টি টের পেয়ে ফজর আলীর পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েক যুবক। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় ২৭ জুন এবং বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২৯ জুন থানায় মোট দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় এ পর্যন্ত শাহ পরানসহ পাঁচজন কারাগারে আছেন। আর ঘটনার সময় পিটিয়ে ফজর আলীর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন১২ দিন পর নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন, রিমান্ড শেষে ৪ আসামি কারাগারে১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনমুরাদনগরের সেই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তি কারাগারে০৫ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র দনগর শ হ পর ন ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ