নেত্রকোনার মদনে শিয়ালের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে উপজেলার চানগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা সবাই চানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিফা আক্তার (২৯), সালমা আক্তার (২৪), তন্না আক্তার (১০), মোরসালিন (১৭), জেসমিন আক্তার (৪৫), এরশাদ মিয়া (৩৫), শামীম মিয়া (৩৮), আঙ্গুর মিয়া (৫০), তাইজুল ইসলাম (৬), আসব আলী (৭৫), মারিয়া আক্তার (৩), লিজা আক্তার (৯), আবির মিয়া (২) ও কাইয়ুম মিয়া (৪০) মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা রাতের খাবার খেয়ে গরমের কারণে ঘরের বাইরে বসে গল্প করছিলেন। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি শিয়াল আক্রমণ করে তাঁদের হাত-পায়ে কামড় দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এভাবে প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে শিশুসহ অন্তত ১৭ জনকে কামড় দেয় শিয়ালটি। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে শিয়ালের আতঙ্ক দেখা দেয়।

আহত কাইয়ুম মিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতো রাতের খাওয়া শেষে ঘরের বারান্দায় বসেছিলাম। হঠাৎ একটা শিয়াল দৌড়ে এসে আমাকে কামড়ে দেয়। পরে আমাদের বাড়ির আরও চারজনকে কামড় দিয়ে অন্য বাড়িতে চলে যায়। এর পর থেকে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্বাস আলী বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, শিয়াল সাধারণত দুটি কারণে আক্রমণ করে। প্রথমত কেউ প্রাণীগুলোকে আঘাত করলে সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণে যায়। আরেকটি হলো খাদ্যসংকট। এখন শিয়ালের খাবারের খুব অভাব। ক্ষুধার্ত হয়ে লোকালয়ে গিয়ে লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। মনে হচ্ছে, ক্ষুধার্ত শিয়ালই আক্রমণ করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ