গ্রাহকের মুঠোফোন রিচার্জ সেবা ঝামেলাবিহীন করতে ‘এক ট্যাপ’ নামে নতুন একটি সেবা যুক্ত করেছে বিকাশ অ্যাপ। এর ফলে পিন বা বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে মাত্র একটি চাপ বা ক্লিকেই (এক ট্যাপ) নিজের নিবন্ধিত মুঠোফোন নম্বরে টাকা রিচার্জ করা যাচ্ছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ জানায়, বিকাশের বহুল ব্যবহৃত মুঠোফোন রিচার্জ সেবাকে আরও বেশি গ্রাহকবান্ধব করতে নতুন এই এক ট্যাপ পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। এটি ব্যবহারকারীর সময় ও কাজ দুটিই কমাবে।

সম্প্রতি চালু হওয়া এই এক ট্যাপ পদ্ধতিতে গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত মুঠোফোন রিচার্জ করতে পারছেন। ফলে বিকাশ অ্যাপ থেকে নিজের মুঠোফোন রিচার্জ হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন ও সময় সাশ্রয়ী।

বিকাশ মনে করে সব মোবাইল অপারেটরের রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা এই এক ট্যাপ সেবাটি নিতে পারছেন। এতে ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহকের অভ্যস্ততা ও আস্থা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে তাঁদের জন্য আরও নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

রিচার্জের পদ্ধতি

এক ট্যাপ মুঠোফোন রিচার্জ চালু করতে আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার সেবা চালুর সম্মতি দিতে হবে। বিকাশ অ্যাপের মুঠোফোন রিচার্জ আইকনে ক্লিক করলে গ্রাহক নম্বরের তালিকা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে নিজের নম্বর নির্বাচন করলে এক ট্যাপ মুঠোফোন রিচার্জ চালুর জন্য সম্মতি চাইবে। সম্মতি দিয়ে এগিয়ে গেলেই পিন ছাড়া এক ট্যাপ রিচার্জ পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। এরপর প্রতিবার কেবল নম্বর বাছাই করে ও টাকার পরিমাণ লিখে ট্যাপ করলেই রিচার্জ হয়ে যাবে।

সেবাটির মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাক বা অফারের জন্যও রিচার্জ করা যাবে। এ ধরনের রিচার্জ করতে চাইলে নম্বর ট্যাপ করে পরের স্ক্রিনে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডিল ইত্যাদি অফার দেখা যাবে। সেখান থেকে পছন্দসই প্যাক নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে একই পদ্ধতিতে (টাকা রিচার্জের মতো করে) এক ট্যাপেই রিচার্জ করা যাবে। কোনো কুপন থাকলে তা–ও এক ট্যাপ রিচার্জ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে।

গ্রাহক চাইলে এক ট্যাপ মুঠোফোন রিচার্জ পদ্ধতি বাতিল করে আবার আগের অবস্থায় ফেরত যেতে পারবেন। এ জন্য চাইলে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের প্রোফাইল অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে এক ট্যাপ লেনদেন সিলেক্ট করে সেটি বন্ধ বা ডিজঅ্যাবলড করে দিতে হবে। পরবর্তী সময় চাইলে গ্রাহকেরা নিজের প্রোফাইল থেকেই সেবাটি পুনরায় চালু করতে পারবেন।

বিকাশ জানায়, গ্রাহকের মুঠোফোন রিচার্জ সেবা ঝামেলাবিহীন করতে অটো পে, অটো রিচার্জ, মাই অফার, বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজসহ নানা সুবিধা যুক্ত আছে বিকাশ অ্যাপে। নিজের বা প্রিয়জনের মুঠোফোন রিচার্জের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধাগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে মুঠোফোন ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র চ র জ কর গ র হক র এক ট য প ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ