২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মাসান’। সমালোচকপ্রিয় ও বহুল প্রশংসিত এ ছবির মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন কয়েকজন নবাগত, যাঁদের অন্যতম অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি। সম্প্রতি ছবিটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক ‘অমর উজালা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়জীবনের সূচনালগ্নে ফিরে গেলেন স্মৃতিকাতর শ্বেতা। শ্বেতার ভাষায়, ‘“মাসান” যে ১০ বছর পেরিয়ে গেছে, ভাবতেই হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১০ বছর মানে অনেক কিছু বদলে যাওয়ার সময়। এক শিশু বড় হয়ে যায়। আমার জন্য মুহূর্তটা অত্যন্ত আবেগঘন।’
অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আর নিবেদন শুরু থেকেই শ্বেতার ভেতরে ছিল। প্রথম ছবিতেই সেই প্রমাণ মিলেছিল। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই “মাসান”-এর কথা ভাবি, আনমনেই খুশি হয়ে উঠি। এ ছবিই আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা আর আবেগ তুলে ধরেছে।

“মাসান”ই আমার পথ ঠিক করে দিয়েছিল। যদি ১০ বছর আগের শ্বেতার সঙ্গে আজকের শ্বেতার দেখা হতো, তাহলে আমি তাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দিতাম।’ অভিনেত্রী মনে করেন, ১০ বছর আগে নেওয়া এক সিদ্ধান্তেই তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে যায়। এ জন্য তিনি নিজেকে ধন্যবাদ দিতে চান।

শ্বেতা ত্রিপাঠি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১০ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ