২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মাসান’। সমালোচকপ্রিয় ও বহুল প্রশংসিত এ ছবির মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন কয়েকজন নবাগত, যাঁদের অন্যতম অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি। সম্প্রতি ছবিটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক ‘অমর উজালা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়জীবনের সূচনালগ্নে ফিরে গেলেন স্মৃতিকাতর শ্বেতা। শ্বেতার ভাষায়, ‘“মাসান” যে ১০ বছর পেরিয়ে গেছে, ভাবতেই হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১০ বছর মানে অনেক কিছু বদলে যাওয়ার সময়। এক শিশু বড় হয়ে যায়। আমার জন্য মুহূর্তটা অত্যন্ত আবেগঘন।’
অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আর নিবেদন শুরু থেকেই শ্বেতার ভেতরে ছিল। প্রথম ছবিতেই সেই প্রমাণ মিলেছিল। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই “মাসান”-এর কথা ভাবি, আনমনেই খুশি হয়ে উঠি। এ ছবিই আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা আর আবেগ তুলে ধরেছে।
“মাসান”ই আমার পথ ঠিক করে দিয়েছিল। যদি ১০ বছর আগের শ্বেতার সঙ্গে আজকের শ্বেতার দেখা হতো, তাহলে আমি তাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দিতাম।’ অভিনেত্রী মনে করেন, ১০ বছর আগে নেওয়া এক সিদ্ধান্তেই তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে যায়। এ জন্য তিনি নিজেকে ধন্যবাদ দিতে চান।
শ্বেতা ত্রিপাঠি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট