দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল
Published: 1st, August 2025 GMT
জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (০১ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা।
টস হেরে আগে বোলিংয়ে নেমে দারুণ নিয়ন্ত্রিত এবং আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের প্রদর্শনী উপহার দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের একপ্রকার দম ফেলতেই দেয়নি ইকবাল হোসেন ইমন ও তার বোলিং সঙ্গীরা। মাত্র ৮৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। যা এই পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনেকটাই আত্মসমর্পণের সমান।
ইকবাল হোসেন ইমন ছিলেন বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। মাত্র ৬.
আরো পড়ুন:
১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: আইন উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রশংসা জ্বালানি উপদেষ্টার
অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ওপেনার রিফাত বেগ ইনিংসের প্রথম ওভারে গোল্ডেন ডাক মারেন। তবে অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ছিলেন দৃঢ়। ৪৯ বলে ৬টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় গড়া ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত অবস্থায়। তার সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন রিজান হোসেন, যিনি ২৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের মাঝপথে দ্রুতগতির ২০ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন কালাম সিদ্দিকি আলিন।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমান ৬ পয়েন্টে পৌঁছায় বাংলাদেশ। যদিও নেট রান রেটে কিছুটা পিছিয়ে থাকায় আপাতত অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। তবে ফাইনাল নিশ্চিত করে সিরিজ জয়ের দৌড়ে তারা এখন একেবারে সামনে।
টুর্নামেন্টে আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর এই জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে লাল-সবুজের তরুণ ব্রিগেড। ফাইনালের মঞ্চে এখন তাদের একটাই লক্ষ্য, শিরোপা জিতে দেশে ফেরা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী