পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক স্বাভাবিক নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

রবিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে ফিরোজায় যান বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ সময় ৪৫ মিনিট কথা হয় তাদের।

আরো পড়ুন:

মদন বিএনপির কমিটিতে সরকারি স্কুলের শিক্ষক

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নিশাদ বহিষ্কার

বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.

জাহিদ হোসেন বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ফিরোজায় এসেছেন। এ সময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পক্ষ থেকে ইসহাহাক দার বেগম জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।”

তিনি আরো বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সেজন্য ওনারা স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছেন। শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেননি। কথা বলার মাঝে দুই দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দুই দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে সার্কের বিষয়ে কথা হয়েছে। সার্ক প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন স্মৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।শহীদ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সার্কের ঘোষণা ও পাকিস্তান সফর নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন।”

তিনি বলেন, “দুই দেশের মানুষের সাথে আরো সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যায় সেই বিষয়ে কথা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাইকে একত্রে কাজ করতে পারে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পাকিস্তান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সেটার মধ্য সেটার নেতৃত্ব তারেক রহমান দিবেন এমন কথা হয়েছে। বাংলাদেশ যাতে আগামী দিনে সুন্দর রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন।”

সার্ককে গতিশীল করার বিষয়ে তিনি বলেন, “সার্ককে গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।”

এর আগে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে পৌঁছান পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ও ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই বৈঠকে আরো অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ পরর ষ ট রমন ত র কম ট র সদস য ড ব গম খ ল দ ইসহ ক দ র র র জন

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ