ওয়ালটনে সপ্তাহব্যাপী হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

২৩ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যানভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক কার্যক্রম কর্মসূচি হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ স্কুলের প্রতিনিধি দল

ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট

আয়োজকরা জানায়, কোম্পানির কর্মীদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি যৌথভাবে পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হেলথ এইড প্লাস ও ওয়ালটন।

কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রতিষ্ঠানের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী নিজে টিকাদানের পরীক্ষা করিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, “সবাইকে এ সুযোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আজ থেকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির কর্মীদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একটি শক্তিশালী এবং টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মূল ভিত্তি হলো এর কর্মীবাহিনী। আমাদের কর্মীরাই আমাদের প্রাণ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং একাগ্রতার কারণে ওয়ালটন আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই, তাদের সুস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

তিনি বলেন, “হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক রোগ, যা নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। সময় মতো টিকা না নিলে এটি লিভারের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। আমাদের কর্মপরিবেশে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে, তাই এই রোগ থেকে কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিরোধ নিরাময়ের চেয়ে উত্তম। তাই, এই টিকাদান কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম নয়, বরং এটি আমাদের কর্মীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।”

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যানভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেইফটি বিভাগের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “আমাদের কর্মীরাই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। হেপাটাইটিস বি টিকাদান কর্মসূচি সেই অঙ্গীকারেরই একটি অংশ।”

হেলথ এইড প্লাস এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. শামিমুজ্জামান বলেন, “ওয়ালটনের মতো একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি বলেন, “এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের শিল্প খাতে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আশা করা যায়, এটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।”

কর্মসূচির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন অ্যানভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগ।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ প ট ইট স ব র কর ম দ র আম দ র ক স রক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

জমকালো আয়োজনে ওয়ালটনে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন 

১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’ বা ‘বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম’।

এ প্রতিপাদ্য ওজোন স্তর সুরক্ষার যাত্রাকে তুলে ধরে, যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং মন্ট্রিল প্রটোকলের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক পদক্ষেপে পরিণত হয়েছে। এটি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সাফল্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।

নানা আয়োজনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন করা হয়েছে। 

বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণ। র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজুসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

র‍্যালি শেষে আলোচনা সভা করা হয়। এতে ওজোন স্তর সুরক্ষায় করণীয় ও ওয়ালটনের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। 

ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেছেন, “প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস। এ দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো—আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করা এবং ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২৫ এর প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’। এটি কেবল একটি শ্লোগান নয়, বরং মানবজাতির সম্মিলিত সাফল্যের একটি প্রতিচ্ছবি, যেখানে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার পথ দেখিয়েছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় সেই পথে ঐক্যবদ্ধভাবে হেঁটেছে।” 

তিনি ওজোন স্তরকে রক্ষা করতে ওয়ালটনের নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবগত করেন। এরকম সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের জন্য ইএইচএস বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর প্রতিক কুমার মোদক বলেন, “ওজোন স্তর হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত। এটি তিনটি অক্সিজেন পরমাণু (O3) নিয়ে গঠিত একটি গ্যাসীয় স্তর। ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি (UV) রশ্মির প্রায় ৯৭-৯৯ শতাংশ শোষণ করে নেয়। এই রশ্মি যদি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছাত, তবে তা মানব স্বাস্থ্য (ত্বকের ক্যান্সার ও ছানি), উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতো। ওজোন স্তর তাই পৃথিবীর জন্য একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। ওয়ালটন কতটুকু পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য উৎপাদন করে, সেটার সাথে আপনারা কম-বেশি সবাই পরিচিত। একে অপরের সাথে এ বিষয়ে সমন্বয়ের উদ্দেশ্যেই মূলত আজকের এই আয়োজন।"

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “ওয়ালটন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থ যেমন: ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs) এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HCFCs) এর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে, আমরা এমন রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করছি, যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপরও কম প্রভাব ফেলে। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্টগুলো এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নের সম্পর্কে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।” 

ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিকল্পনা সম্পর্কে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে এমন নতুন শীতলীকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব, যা পরিবেশের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ওজোন স্তর এবং সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।” 

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এসি প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর শামিম আহমেদ, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ আবদুল্লাহ রাজু, ফাস্টেনার প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (ডিসিবিও) আলমগির হোসেন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মো. কাওসার উদ্দীন চৌধুরী, রেফ্রিজারেটর উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মো. নাসির উদ্দীন, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোহন কুমার পাল, মোবাইল উৎপাদন বিভাগের প্রধান মো. মনির হোসেন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. কামরুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান টি এম জাকির হোসাইন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান (এসি) আরিফুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (ইএপি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (এসি) মো. আসিব-উল-হক ভূঁইয়া, সিকিউরিটি সেকশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের মো. গোলাম রাব্বানি, ইএইচএস বিভাগের ব্লক কো-অর্ডিনেটর এবং ইনচার্জগণসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। 

অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ইএইচএস টিম, ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স। উপস্থিত অতিথিদের মাঝে ‘লাইফ সেভিং কার্ড‘ বিতরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমকালো আয়োজনে ওয়ালটনে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন