প্রশাসনে বড় পদোন্নতি, উপ-সচিব হলেন ২৬৮ কর্মকর্তা
Published: 28th, August 2025 GMT
উপ-সচিব পদে ২৬৮ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সচিব হলেন বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী মঈন
লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান দিলে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে তাদের নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়নি।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপ-সচিবদের মধ্যে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে থাকা ৬ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল থেকে কোনো কর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম/ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন।
পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ বা ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন বা বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, উপ-সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের যোগদানপত্র সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর বা অনলাইনে (email: [email protected]) দাখিল করতে পারবেন।
বিদেশে থাকা পদোন্নতিপ্রাপ্তদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ২৪ মার্চের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার প্রেষণ পদের বেতন স্কেল উন্নীত করে আদেশ জারি করবে। আদেশ জারির পর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদান করে যোগদানপত্র নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদানের তারিখ থেকে ওই পদের বেতন-ভাতা পাবেন।তবে বৈদেশিক ভাতা এবং এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালাউন্সের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা মিশনের মূল পদের নির্ধারিত হার প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হওয়ার আগে পর্যন্ত উন্নীত বেতন স্কেল বহাল থাকবে।
এবার প্রশাসন ক্যাডারের ১৯২ জন কর্মকর্তা এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপ-সচিব হয়েছেন ৭৬ জন কর্মকর্তা।
সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপ-সচিব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল বিবিএস ৩০তম ব্যাচ। এছাড়া এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তারাও উপ-সচিব পদে পদোন্নতির তালিকায় এসেছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
প্রশাসনে উপ-সচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অনেককেই আগের পদে কাজ করতে হবে। পদোন্নতির পর উপ-সচিব পদে মোট কর্মকর্তার সংখ্যা হলো এক হাজার ৬৬৯ জন।
‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের (বেঞ্চমার্ক) অন্তত ৮৩ পেতে হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র প ত কর মকর ত র কর মকর ত কর মকর ত র র সহক র উন ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা