সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নীলডুমুর এলাকায় ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর চরের ৫০০ ফুট অংশ হঠাৎ দেবে যাওয়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

নদীর চর ভেঙে ও বসে যাওয়ার কারণে আশপাশের কমপক্ষে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদী ভাঙন রোধের দাবি জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। অনেকের ধারণা, সঠিক সময়ে সংস্কার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে একটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে উপকূলীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হতে পারে।

বুড়িগোয়ালিনী ভামিয়া গ্রামের মাসুদ মোড়ল বলেন, “যদি জরুরি ভিত্তিতে চরটি বসে যাওয়া রোধ না করা হয়, তবে কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে কৃষিজমি, বসতবাড়ি এবং বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, “নদীর চর ভেঙে ও বসে যাওয়ার কারণে আশপাশের কমপক্ষে ১০টি গ্রাম ব্যাপকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া নদীর পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চরটির দুর্বল অংশগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।”

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, “গত কয়েকদিন আগে নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের বাড়ির সামনে খোলপাটুয়া নদীর চর দেবে যাচ্ছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হলেও আজও কোন সমাধান হয়নি।”

তিনি বলেন, “যদি দেবে যাওয়া স্থানটিতে জিও ভর্তি বালু বস্তু ডাম্পিং করা না হয়, তাহলে আমার ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া এখন মৎস্য ঘেরে মাছ চাষের সিজেন হওয়ায় প্রতিটি ঘেরে প্রচুর পরিমাণ চিংড়ি মাছ রয়েছে, আর এই এলাকা ভেঙে গেলে বহু টাকার লোকসানে পড়তে হবে এই উপকূলের মৎস্য চাষীদের।”

তিনি আরো বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ এবং নদীর চর সংস্কারের উদ্যোগ কামনা করেন।”

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, “খুবই দ্রুত নীলডুমুর খোলপাটুয়া নদীর চর দেবে যাওয়া স্থানে জিও বস্তা ডাম্পিং করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা

বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের উৎপাদন শাখায় কিচেন ও বেকারি ইউনিটে ইন্টার্নশিপে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সম্মানী প্রদান করা হবে। শুধু ছয় মাসের জন্য করা যাবে ইন্টার্নশিপ।

কিচেন হেলপার পদে ইন্টার্ন—

বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।

যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।

২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা হতে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি ফুড অ্যান্ড বেভারেজে কুকিং কোর্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।

বেকার হেলপার পদে ইন্টার্ন—

বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।

যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।

২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা থেকে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রিতে সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে।

৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রির ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।

যোগ্যতা—

১. প্রত্যেক প্রার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পাস অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।

২. চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ইন্টার্নকে বিএফসিসিতে ভর্তির সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে আনতে হবে।

৩. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে ভর্তির আগে বিমান মেডিকেল থেকে শারীরিক ফিটনেস সংগ্রহ করতে হবে।

সুযোগ-সুবিধা—

১. শুধু ছয় মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে ভর্তি করা হবে।

২. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে দৈনিক হাজিরা সাপেক্ষে ছয় শ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। নির্ধারিত সম্মানী ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা দেওয়া হবে না।

৩. রোস্টার মোতাবেক দৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একবার হ‌লেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়া‌ত
  • বিমানবাহিনী নেবে অফিসার ক্যাডেট, দেখুন চাকরির বিস্তারিত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা