কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ
Published: 30th, August 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। কিন্তু, এখনো কিছু শক্তি সেই ভোটের অধিকার বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।”
শনিবার (৩০ আগস্ট) নেত্রকোনার ঐতিহাসিক মোক্তার পাড়া মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বার্থে কেউ যেন নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি না করে।”
তিনি আরো বলেন, “সারা বাংলাদেশে আজ নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সংবিধানে নেই। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের ২ নম্বর উপ-ধারায় স্পষ্ট বলা আছে—প্রত্যেক সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘পিআর’ নামে কোনো শব্দ নেই।”
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.
ঢাকা/ইবাদ/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস