গণতান্ত্রিক আচরণ প্রদর্শনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান ৪৬ নাগরিকের
Published: 30th, August 2025 GMT
সব শ্রেণি-পেশা, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ব্যক্তির প্রতি গণতান্ত্রিক আচরণ প্রদর্শনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৪৬ নাগরিক।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধীরে ধীরে সক্রিয় হলেও সমাবেশ, জমায়েত ও মিছিলে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনা গভীর উদ্বেগের। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কিছু দাবি নিয়ে মিছিল করার সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং পেলেট বুলেট ছুড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। রাস্তায় নামা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা হয়।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি (সহসভাপতি) নুরুল হক নুরের ওপর যৌথ বাহিনী নির্মম হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছে। দলটির অন্য নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে পেটানো হয়। তাদের কার্যালয়ে গিয়েও হামলা চালানো হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন নেতা ও তার দলের ওপর এ ধরনের হামলায় আমরা শঙ্কিত।
বিবৃতিতে ৪৬ নাগরিক বলেন, প্রধান উপদেষ্টাও এ বিষয়ে অবগত বলে খবর বেরিয়েছে। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই দ্রুত। এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বিবৃতি দেওয়া ৪৬ নাগরিকের মধ্যে আছেন কাজল শাহনেওয়াজ, রায়হান রাইন, সায়েমা খাতুন, জিয়া হাসান, জি এইচ হাবীব, আ আল মামুন, নাহিদ হাসান, আশফাক নিপুন, সৌভিক রেজা, রেজাউর রহমান লেনিন, রাখাল রাহা, আর রাজী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ড.
শাহাদাৎ স্বাধীন, পারভেজ আলম, নকিব মুকশি, কবি হাসান জামিল, অর্বাক আদিত্য, উৎসব মোসাদ্দেক, আরাফাত রহমান, দীপক কুমার রায়, মিসবাহ জামিল, রাহুল বিশ্বাস।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।