কোনো চক্রান্ত জাতীয় পার্টির অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না: রুহুল আম
Published: 3rd, September 2025 GMT
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, “প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সময় সময় চক্রান্ত হয়েছে। দেশের আপামর জনসাধারণের ভালবাসা ও মানুষের সমর্থন এবং এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীদের সংগ্রামের কারণে জাতীয় পার্টি স্বমহিমায় এগিয়ে গেছে। ফলে কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র জাতীয় পার্টির অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না।”
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিশেষ দলের নয়, জাপা রক্ষার দায়িত্ব জনগণ ও নেতাকর্মীদের: চুন্নু
জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারির পদত্যাগ
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে জাতীয় পার্টির মালিকানা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বড় রাজনৈতিক দলে অনেক সময় মান অভিমান থাকে। কিন্তু নানা সময় যারা অভিমান করে দল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বা পার্টিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন, তাদের এক ছাতার নিচে এনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে। এই ঐক্যপ্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টির মালিকানা তার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কোনো একক ব্যক্তির নেতৃত্বে আর কখনোই জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে না।
“আমি প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে আসছি। পল্লীবন্ধু এরশাদ আমাকে দীর্ঘ ১৭ বছর তার মহাসচিব রেখেছেন। দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলা আমি সফর করেছি। জাতীয় পার্টির সব স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আসুন মান অভিমান ভুলে আমরা দেশ ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী রূপে গড়ে তুলি,” যুক্ত করেন হাওলাদার।
দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা ছিল স্বর্ণযুগ মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষ এখন বলছে, এরশাদের সময় ভালো ছিলাম। এই ভালো সময় আবারো দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলের দেশ ও দেশের মানুষের জন্য করা যুগান্তকারী উন্নয়ন কাজগুলো আবারো সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য সারা দেশে শহর, বন্দর ও গ্রামে পল্লীবন্ধু এরশাদের কর্মী সমর্থকদের ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য তুলতে হবে।”
আবারো দেশের মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতি সমৃদ্ধি, স্বস্তি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, দলের প্রেসডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, মো.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম দ র এরশ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী