প্রথমবারের মতো ভূমি প্রতিরোধ আইনের মামলার রায় কার্যকর
Published: 4th, September 2025 GMT
দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২৩ কার্যকর হওয়ার পর এ আইনে আদেশ হওয়া একাধিক মামলার মধ্যে প্রথমবারের মতো গাজীপুরে একটির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলাটির রায় সফলভাবে বাস্তবায়নও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদ করে মূল মালিককে জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে বালু উত্তোলন-জমি দখল, মামলায় বিএনপি কর্মীসহ আসামি ৭৩
আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভূমি হুকুম দখল কর্তকর্তা (এলএও) ইশতিয়াক আহমেদ।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.
অপরদিকে, আইনে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে মামলার রায়ে ন্যায়বিচার পেয়ে মামলার বাদী ও জমির মূল মালিক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাদী ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার মৃত শেখ হাদু রহমানের ছেলে শেখ শাহ জামাল চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার পশ্চিম লক্ষীপুরা এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. পারভেজ মিয়া, মো. পলাশ মিয়া, মো. আলাউদ্দিন গং চান্দনা মৌজায় পৌনে ৯ শতাংশ জমি থেকে তাকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে।
বাদীকে তার দখল পুনর্বহাল করার জন্য আবেদনের দাবিতে করা অভিযোগের বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুর সদরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। সে আলোকে গত ৭ মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় পক্ষের লিখিত জবাব ও দাখিলকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করেন।
আদালতের কাছে প্রমাণিত হয় যে, আবেদনকারী আইনানুগভাবে তফসিলভুক্ত ভূমি দখলে রাখার অধিকারী। এছাড়াও বিবাদীরা বেআইনিভাবে বাদীকে উচ্ছেদ করেছেন। এ কারণে চলতি বছরের ২০ জুলাই আদালত বিবাদীদের ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল পরিত্যাগ করে বর্ণিত জমি থেকে স্থাবর-অস্থাবর স্থাপনা (যদি থাকে) নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে বাদীর অনুকূলে ভূমির দখল হস্তান্তর করার নির্দেশ প্রদান করেন।
অন্যথায়, বিবাদীদের অবৈধ দখল থেকে উচ্ছেদ করে আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করা হবে এবং প্রয়োজনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন ও আদেশ অমান্যের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু বিবাদীগণ আদালতের আদেশ অমান্য করায় গত ২০ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমা খাতুন মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি হুকুম দখল কর্তকর্তাকে (এলএ ও) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন।
ওই আদশের প্রেক্ষিতে বিবাদীদের দখল থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ কার্যক্রমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা প্রদান করে।
জমির দখল ফিরে পেয়ে মামলার বাদী ও জমির মূল মালিক শেখ শাহ জামাল বলেন, “আমি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। গত ২৩ সালে বিবাদীরা আমাকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে সেখানে বিবাদীরা টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিল। বেদখল হওয়ার ২ বছরের মাথায় মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি জমির দখল ফিরে পেয়েছেন। এজন্য অন্তবর্তী সরকার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ অভিযান শেষে জমির মূল মালিকের নিকট দখল স্বত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ বর র দখল
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার