টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একসঙ্গে তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বিথী আক্তার (২১)।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার চার সন্তানের জন্ম হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম হওয়ায় প্রতিটি নবজাতকের ওজন মাত্র এক কেজির মতো।

বিথী আক্তার কালিহাতি উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের বল্লাবাড্ডা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী নাজমুল ইসলামের স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে নাজমুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে বিথীর। বিয়ের তিন বছর পর তিনি গর্ভধারণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তির পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি চারটি বাচ্চা প্রসব করেন। 

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে, নবজাতকগুলোর ওজন তুলনামূলক কম হওয়ায় তারা খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বিথীর বাবা বাদল মিয়া বলেছেন, আমার মেয়ে সন্তানসম্ভবা, এটা জানতে পেরে উভয় পরিবারই তার প্রতি আরো বেশি যত্নবান হই। কয়েকবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারি, তিনটি বাচ্চা হবে। বিথীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা মেয়েকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চারটি বাচ্চা প্রসব করান। আমরা চারটি বাচ্চার কথা শুনে খুবই অবাক হই। তবে, আমরা খুবই আনন্দিত। 

বিথী আক্তার ও তার চার সন্তানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন বাদল মিয়া।

কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক সুমা জানিয়েছেন, বাচ্চাগুলোর ওজন কম হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চার মা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকেও আমরা গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা দিচ্ছি।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হওয় য়

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল