মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
Published: 5th, September 2025 GMT
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার রাহাতপুরে উর্বর কৃষিজমি থেকে নির্বিচারে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তদন্তের আদেশ দেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
এবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ছাত্রলীগ নেতার
রিটে ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, রাহাতপুর মৌজায় ৪ হাজার একরের বেশি কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিন ফসলি জমির মালিকদের থেকে খাজনা-কর নেওয়া বন্ধ করে সেই জমিকে বালুমহাল ঘোষণা করে ইজারা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ইজারাদার প্রতিনিয়ত বালু-মাটি খনন করে কৃষিজমি নষ্ট করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ইজারাদারের লোকজন দেশি-বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কৃষকদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মো.
ঢাকা/চন্দন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।