জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ জন্য যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাবি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে ভোট গণনা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

জাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে: ছাত্রশিবির

এভাবে গুনলে জাকসু নির্বাচনের ফল ৩ দিনেও প্রকাশ করা সম্ভব না

জাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “অমানবিক পরিশ্রম করে আমাদের এই কাজটি করতে হচ্ছে। একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেশিনে গণনার প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন স্থগিত করেছে। আমি অবগত হয়েছি।”

‘জাকসু নির্বাচন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার' উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের জন্য সংগ্রাম করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে এটা শুরু হয়েছে, জাকসু হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি সেই চেতনার জায়গা থেকে সবার অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।”

“আমি ব্যক্তিগতভাবেই জাকসু সভাপতি হিসেবে এখানে অবস্থান করছি। শারীরিকভাবে কোনো কাজ করে দিতে পারছি না, কিন্তু হৃদয় দিয়ে আমি আপনাদের পাশে আছি”।

সেখানে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের সদস্য, প্রার্থী, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা যেভাবে আগে পেয়েছি এই সহযোগিতা অব্যাহতা থাকবে সেটা আশা করি।”

“আপনাদের যেকোনো ধরনের প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার যে সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমি সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে এবং অন্য লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে থাকব, এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি,” যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ভোট গণনা চলবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

ঢাকা/সাব্বির/আহসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য সহয গ ত ভ ট গণন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ