দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন পেটেন্ট অর্জন করল গ্লোব বায়োটেক
Published: 14th, September 2025 GMT
৫৪ বছরে দেশের ওষুধশিল্পে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অর্জন করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। কোভিড-১৯ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এই বিশেষ সুবিধা অর্জন করেছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গ্লোব বায়োটেকের কার্যালয়ে এ অর্জনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধ-বিষয়ক সেমিনার
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ‘টাইফয়েড প্রতিরোধ’ টিকাদান শুরু ১২ অক্টোবর
গ্লোব বায়োটেকের গবেষক ড.
“১৬৫টি দেশ টিআরআইপিএস এর আইন মানতে বাধ্য। আগামী বছর নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ টিআরআইপিএস সুবিধা পাবে। বঙ্গভ্যাক্সের ইউএস প্যাটেন্ট একটি দরজা খুলে দিয়েছে। এখন আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য ওষুধও তৈরি করতে পারব এবং তা বাধাহীনভাবে অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারব।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সালে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার তৈরি। ২০২০ সালে যখন বিশ্বজুড়ে মহামারির প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ উদ্ভাবনে গবেষণা শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, “এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এমআরএনএ ছাড়াও ডিএনএ, সাবইউনিট/প্রোটিন, ইনঅ্যাকটিভেটেড ভাইরাস, রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস ভ্যাকসিনসহ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ, ব্লাড ডিসঅর্ডারের মতো দুরারোগ্য রোগের ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।
এজন্য ওষুধ শিল্পে নেতাদের এবং সরকারের সহায়তা দরকার।”
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার