ভয় জয় করলে মিলবে চাকরি—জেনে নিন তিন বড় বাধা
Published: 19th, September 2025 GMT
রিফাত ছাত্তার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মাস্টার্স শেষ করেছেন ২০২৩ সালে। পড়াশোনায় ছিলেন ভালো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কাজেও সক্রিয় ছিলেন। পড়াশোনা শেষে টানা দুই বছর ধরে তিনি চাকরি খুঁজছেন। ছোট–বড় মিলিয়ে আবেদন করেছেন প্রায় ২০০টির মতো। হাতে গোনা কয়েকবার সাক্ষাৎকারের ডাক পেলেও শেষ পর্যন্ত কোনো নিয়োগ হয়নি।
রিফাত ছাত্তার বলেন, ‘প্রথম দিকে আত্মবিশ্বাস ছিল অনেক। ভাবতাম, আমি হয়তো দ্রুতই চাকরি পেয়ে যাব। কিন্তু একের পর এক অস্বীকৃতি পেতে পেতে এখন মনে হয়, হয়তো আমার কিছুই হবে না। অনেক সময় নতুন করে আবেদন করারও আগ্রহ পাই না।’
রিফাতের গল্প একা নয়। রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অসংখ্য তরুণ–তরুণীর কণ্ঠে শোনা যায় একই হতাশা।
নেটওয়ার্কিং এড়িয়ে গেলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বহুগুণ। ১৫ হাজার চাকরির আবেদনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬ শতাংশ আবেদন এসেছে পরিচিতদের রেফারেলের মাধ্যমে, সেখান থেকেই নিয়োগ হয়েছে ৩৭ শতাংশ।কঠিন হচ্ছে চাকরির বাজার২০২৪ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে যেখানে মাসে প্রায় দুই লাখ লোকের চাকরি হতো, ২০২৫ সালের জুনে এসে সেই সংখ্যা নেমেছে মাত্র ১৯ হাজারে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাভাব বাংলাদেশের চাকরির বাজারকেও প্রভাবিত করেছে। সরকারি চাকরির পদের সংখ্যা সীমিত, আর বেসরকারি খাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আবেদন পড়ে কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষাৎকারে ডাক পান গড়ে মাত্র ৩ শতাংশ প্রার্থী।
অন্যদিকে নিয়োগের নিশ্চয়তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় শঙ্কা। বৈশ্বিক অনলাইন নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিডের সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, কর্মরত মানুষের অর্ধেকই এবার ছাঁটাইয়ের আতঙ্কে ভুগছেন, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল যোগ্যতা দিয়েই আর চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে প্রতিযোগিতা এতটাই বেশি যে প্রার্থীদের ভয় জয় করে কৌশলগতভাবে এগোতে হচ্ছে। বিশেষ করে তিনটি ভয় প্রার্থীদের পথ আটকে দিচ্ছে—অস্বীকৃতির ভয়, যোগাযোগের ভয় ও প্রযুক্তিগত ভয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৭০মেধাবী প্রার্থীর ঘাটতিসরকারি কর্ম কমিশন একটি বিসিএসে সাধারণত শূন্য দশমিক ৪৫ থেকে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রার্থীকে সুপারিশ করে। যেমন: ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৪, ৩৮তম বিসিএসে শূন্য দশমিক ৬৪, ৪০তম বিসিএসে শূন্য দশমিক ৪৮, ৪১তম বিসিএসে শূন্য দশমিক ৬২, ৪৩তম বিসিএসে শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ৪৪তম বিসিএসে শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ।
পিএসসির এই পরিসংখ্যান বলছে, দেশে যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীর ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুনসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতে চাকরি, পদ ৪১০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, ২০২২ সাল থেকে জুনিয়র ডেভেলপার পদের নিয়োগ কমেছে ২০ শতাংশ। পাশাপাশি ফরচুন ৫০০ কোম্পানির ৮০ শতাংশই এখন প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ে এআই ব্যবহার করছে।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ন য দশম ক চ কর র ব স এস র চ কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আজাদের বিশেষ বার্তা
আড়াইহাজার উপজেলাবাসী ও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) ও নারায়ণগঞ্জ -২ আড়াইহাজার আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত নজরুল ইসলাম আজাদ।
বিশেষ বার্তায় নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, প্রিয় আড়াইহাজারবাসি আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আমি আপনাদের নেতা নই, আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের ভাই, আপনাদের আপনজন, দলমত নির্বিশেষে আড়াইহাজারের প্রত্যেকটি মানুষ আমার আপনজন।
যেই মুহূর্ত থেকে জননেতা তারেক রহমান আমাকে আড়াইহাজার উপজেলা থেকে ধানের শীষ মার্কায় মনোনীত করেছেন ঠিক সেই মুহূর্তে থেকে আড়াইহাজারে কে কোন ব্লক বা কে কোন নেতার হয়ে কাজ করেছে তা আমার কাছে কোন ম্যাটার করে না দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকে আমার ভাই আমরা সবাই ধানের শীষের লোক আমরা প্রত্যেকে একটি মানবিক আড়াইহাজার গঠনের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় আড়াইহাজারবাসি আপনারা আমার প্রার্থনাই থাকেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারও আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি শুধু অনুরোধ করবো, প্রিয় মমতাময়ী মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্দেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমরা কোন বিজয় মিছিল,কোন রকম মিষ্টি খাওয়া এবং হৈ হুল্লোড় করবো না।
আমরা সেদিনই বিজয় মিছিল করবো, সেদিনই মিষ্টি খাব, যেদিন দেশের গনমানুষের ভোটের মাধ্যমে ধানের শীষ প্রতীক বিজয় করার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। আপনারা যদি আমাকে সত্যি সত্যিই ভালোবাসেন, তাহলে দলের নির্দেশ এবং আমার অনুরোধ আপনারা রাখবেন, আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতজন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আমরা সবাই এক এবং অভিন্ন,আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই,বিভেদ তৈরি করতে কাউকে সুযোগ আমরা দিব না,আমরা সকলে মিলেই ধানের শীষ প্রতীক কে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো এটাই হোক আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।
“ভোট দিব ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলেমিশে” শুভেচ্ছান্তে নজরুল ইসলাম আজাদ। নারায়ণগঞ্জ-২ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।