বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার হওয়া মানেই বিশাল এক যুদ্ধর মধ‌্য দিয়ে ক‌্যারিয়ার গড়া। শুরুতে একটু নাক সিটকানো, এরপরও অবহেলা। এরপর সামান‌্য সুনজর পাওয়ার পরও সুযোগের অপেক্ষায় কেটে যায় অনেক প্রহর। সব অবজ্ঞা পেরিয়ে, কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে যখন কেউ লাইমলাইটে চলে আসেন তার ওপর থাকে রাজ‌্যের চাপ। সেই চাপ সামলে নিতে পারেন খুব কম জনই।

রিশাদ হোসেন কাঁটা বিছানো সব পথ পেরিয়ে রঙিন পোশাকে নিজের উজ্জ্বল ক‌্যারিয়ারের ঝলক দেখিয়েছেন। শুরুতে টি-টোয়েন্টিতে নিজের জায়গা পাকাপাকি করেছেন। ওয়ানডেতে ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ‌্যে। এখন সেখানেও নিজের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন রিশাদ। 

লেগ স্পিনের সঙ্গে গুগলির মিশেলে রিশাদ এখন নিজের আক্রমণ সাজিয়েছেন দারুণভাবে। এখন সেই অস্ত্র ভান্ডারে যোগ করেছেন ফ্লিপার ও স্লাইডার। বাংলাদেশের স্পিনিং কোচ মুশতাক আহমেদের কাছে রিশাদ পাঠ নিচ্ছেন ফ্লিপার ও স্লাইডার বল করার।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে সোমবার ও মঙ্গলবার হয়েছে দুই দিনের বিশেষ রিস্ট স্পিন ক্যাম্প। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কোচ শাহিদ মেহমুদের সঙ্গে স্থানীয় লেগ স্পিনার ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করেন মুশতাক। সেখানেই মুশতাকের ক্লাসে বসেছিলেন রিশাদ। 

ক্যাম্প শেষে সংবাদ মাধ্যমে মুশতাক বলেছেন, ‘‘সে গুগলি শিখছে। গুগলি একটা শিল্প। সে এখন গুগলি, লেগ ব্রেক, ফ্লিপার- সবই শিখছে। পরের ধাপে আসবে ফ্লিপার আর স্লাইডার। লেগ ব্রেক, গুগলি শিখে ফেলেছে। পরের ধাপ হলো টপ স্পিনার, ফ্লিপার ও স্লাইডার।” 

তবে তরুণ স্পিনারকে বেসিক থেকে না সরার পরামর্শ দিয়েছেন মুশতাক, ‘‘এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে রিশাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বেসিক ঠিক রাখা। যখন বেসিক ও প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে, ইনশাআল্লাহ, সে পাঁচ-ছয় ধরনের বলই করতে পারবে।” 

তরুণদের জন্য রিশাদ অনুপ্রেরণার বলতে ভুল করেননি মুশতাক, ‘‘আমি মনে করি রিশাদ (অনুপ্রেরণা)। কারণ সে এখন খুব ভালো বল করছে। বাংলাদেশের হয়ে অনেক উইকেট নিচ্ছে। যে কোনো নায়ক যখন জাতীয় দলে খেলে, উইকেট নেয়, সবাই তার মতো হতে চায়।”

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম শত ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের পিতা সামছুদ্দিন খান আর নেই

বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের পিতা সমাজ সেবক সামছুদ্দিন খান (৮০) আর নেই। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর)  দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বন্দর খানবাড়িস্থ তার নিজ বাসভবনে র্বাধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

মৃত্যুকালে ২ ছেলে ২ মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন তিনি। মরহুমের নামাজের জানাযা বাদ এশা বন্দর খানবাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুমের মৃতদেহ দাফন সম্পর্ন করা হবে বলে মরহুমের পরিবার গনমাধ্যকে এ কথা জানিয়েছে।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ