এশিয়া কাপের ম্যাচ ফি: ভারত দেবে সেনাবাহিনীকে,পাকিস্তান বেসামরিক ক্ষতিগ্রস্তদের
Published: 29th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপ শুরুর আগে থেকেই ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে জমছিল রাজনৈতিক উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের হাত না মেলানোয় এবং ম্যাচের পর দুই দেশের মে মাসের সংঘাত নিয়ে কথা বলার পর, যার জেরে সুপার ফোর পর্বে হারিস রউফ বিমান ভূপাতিতের অঙ্গভঙ্গি দেখান। আইসিসি পরে সূর্যকুমার ও রউফ দুজনকেই ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করে।
টুর্নামেন্টের মাঝের সেসব ঘটনা ছাপিয়ে গেছে গতকাল রাতের ফাইনাল। দুবাইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভির হাত থেকে পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ছাড়াই উদ্যাপন করতে হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের।
এমনকি পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ জয়কে ‘অপরাশেন সিঁদুর’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ক্রিকেটে দুই দেশের রাজনৈতিক সংঘাতকে জড়ানোর ঘটনা অবশ্য এটুকুতেই আটকে থাকেনি। ম্যাচ শেষে দুই দলের অধিনায়ক নিজেদের ম্যাচ ফিও রাজনৈতিক লড়াইয়ে সম্পৃক্তদের অনুদান হিসেবে দিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনমোদি বললেন ‘খেলার মাঠেও অপারেশন সিঁদুর’, নাকভি দিলেন পাল্টা জবাব১২ ঘণ্টা আগেগতকাল ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার বলেছেন, ‘আমি এই টুর্নামেন্টে খেলা সব ম্যাচের আমার ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে দিতে চাই।’
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর–সংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এ নিয়ে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাসংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে দিনভর সংঘর্ষের পর অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ সোমবার রাত আটটার পর মিরপুর থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। আর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের সড়কটিতে ছোট ছোট ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কটির প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কটি দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাটিতে বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক রাতে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে রাতেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড হয়। সাবেক আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড (তিনি রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার ছিলেন)।
এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তি পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ওই বাড়িটি ভাঙার ঘোষণা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রাত ১০টার পর নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়