মুন্সীগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪
Published: 3rd, October 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের গাজী ও মোল্লা গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- সাকিব মোল্লা (৩০), মহিউদ্দিন মোল্লা (৩৫) ও আকাশ মোল্লাকে (২৫)। অপর আহত সাব্বির মোল্লা (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় গাজী গ্রুপের সঙ্গে মোল্লা গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ‘‘গ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এ রায় ঘোষণা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: ওএইচসিএইচআর
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন রাভিনা শামদাসানি।
ওএইচসিএইচআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমরা নির্দেশদাতা ও নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদেরসহ দোষীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আসছি। ভুক্তভোগীদের কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানিয়েছি।’
রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘যেহেতু এই বিচারপ্রক্রিয়ার কার্যক্রমের বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না, তাই আমরা সব জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগগুলো যেন প্রশ্নাতীতভাবে যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করে, সে জন্য ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছি। এটি বিশেষভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন, এ মামলার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচার হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডের শান্তি দেওয়া হয়েছে।’
মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাভিনা শামদাসানি। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সব পরিস্থিতিতে এর বিরোধিতা করি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সত্য প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও ক্ষত কাটিয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা খাতের অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। আর এ সংস্কার হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, যেন আর কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনা না ঘটে। এসব প্রচেষ্টাগুলোয় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তত রয়েছে ওএইচসিএইচআর।