বাইসাইকেল কিকে রোনালদোর অবিশ্বাস্য গোল
Published: 24th, November 2025 GMT
ফুটবলে বাইসাইকেল কিকে গোল করা নৈমিত্তিক কোনো ঘটনা নয়। এই দৃশ্য তাই নিয়মিত দেখাও যায় না। কিছু দিন বিরতি দিয়েই এই গোল করে কেউ কেউ আলোচনায় আসেন। কদিন আগে যেমন নেপালের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী।
কিন্তু অন্যদের জন্য বাইসাইকেল গোল বিরল হলেও ৪০ পেরোনো এক ফুটবলারের জন্য এটি মোটেও কঠিন কিছু নয়। সেই ফুটবলারের নাম যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সেটি বোধহয় আলাদা করে বললেও হয়।
গতকাল রাতে আরও একবার সবাইকে বিস্মিত করে বাইসাইকেল কিকে গোল করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। যে বয়সে ফুটবল ছেড়ে বেশির ভাগ খেলোয়াড় অবসর–যাপন করেন, রোনালদো সেই বয়সে শরীরকে শূন্যে তুলে পিঠ মাটির দিকে রেখে আকস্মিক লাফিয়ে কাচির ফলার মতো পা বাড়িয়ে শট নিয়ে গোল করছেন। অবিশ্বাস্যই বটে!
আরও পড়ুনপর্তুগালের হয়ে রেকর্ড ১৭,৯২৬ মিনিট মাঠে ছিলেন রোনালদো, মেসি কত২০ নভেম্বর ২০২৫সৌদি প্রো লিগে আল খালেজের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা গেছে রোনালদোর বাইসাইকেল কিকে গোল করার এই দৃশ্য। ম্যাচের যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল তখন। ৩–১ গোলে এগিয়ে থাকা আল নাসরের জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার। এমন সময় ম্যাচের ৯৬ মিনিটে আক্রমণে ওঠে আল নাসর। দলীয় আক্রমণে ডান প্রান্তে বক্সের বাইরে বল পান বদলিতে নামা নাওয়াফ বাওশাল।
রোনালদোর গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের সহায়তায় কোটি কোটি নক্ষত্রের মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ সহজ করার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার জটিল তথ্য বিশ্লেষণেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এআই–নির্ভর সিমুলেশনের মাধ্যমে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির প্রতিটি নক্ষত্রের মডেল তৈরি করেছেন জাপানের রিকেন সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি থিওরিটিক্যাল অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এআই ব্যবহার করে ১০ হাজার কোটির বেশি স্বতন্ত্র নক্ষত্র শনাক্ত করতে সক্ষম মিল্কিওয়ে সিমুলেশন তৈরি করা হয়েছে। নতুন এই মডেল আগের অত্যাধুনিক সিমুলেশনের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি নক্ষত্র অন্তর্ভুক্ত করছে। শুধু তা–ই নয়, আগের মডেলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণের বেশি দ্রুত তৈরি করা হয়েছে সিমুলেশনটি। গবেষণার বিভিন্ন তথ্য আন্তর্জাতিক সুপার কম্পিউটিং সম্মেলন এসসি ২৫ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের মিল্কিওয়ে সিমুলেশন তৈরির জন্য কাজ করছেন। সিমুলেশনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্যালাকটিক বিবর্তন, কাঠামো ও নক্ষত্র গঠনের তত্ত্বকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা তথ্যের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। একটি গ্যালাক্সিকে নির্ভুলভাবে সিমুলেট করার জন্য মহাকর্ষ, পরিবেশ, রাসায়নিক উপাদানের গঠন ও সুপারনোভার কার্যক্রম গণনা করার প্রয়োজন হয়, যা অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ। আর তাই বিজ্ঞানীরা এর আগে বিস্তারিত তথ্যনির্ভর মিল্কিওয়ের মতো বৃহৎ গ্যালাক্সির মডেল তৈরি করতে সক্ষম হননি।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একেকটি নক্ষত্র ধরে মিল্কিওয়ের সিমুলেট তৈরি করতে প্রতি ১০ লাখ বছরের জন্য প্রায় ৩১৫ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এই হারে ১০০ কোটি বছরের সিমুলেশন তৈরি করতে ৩৬ বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হবে। এ সমস্যা সমাধানে একটি ডিপ লার্নিং মডেলকে স্ট্যান্ডার্ড ভৌত সিমুলেশনের তথ্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: সায়েন্স ডেইলি