টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাদ জোহর শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ অংশ নেন।

হামিদুল হক মোহনের ছেলে মিল্টন হক বলেন, ‘‘বাবা সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদিনের মতো গণসংযোগে বের হন। দেলদুয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে বিকেলে দেউলী ইউনিয়নে পথসভা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় গাড়িতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’

ব্যক্তিজীবনে হামিদুল হক ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের (ভাষা–মতিন) ভগ্নিপতি। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

হামিদুল হকের ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, স্কুলছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন হামিদুল হক। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর ভাসানী ন্যাপের রাজনীতে যুক্ত হন। পরে ভাসানী ন্যাপ বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়। তিনি টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালে সভাপতি হন। টানা ১৭ বছর জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন হামিদুল হক।

ঢাকা/কাওছার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ম দ ল হক ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাদ্য উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান হায়দার  খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান হায়দার তার সাথে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আরো পড়ুন:

ইসলামাবাদে নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত বাংলাদেশ হাইকমিশন

ঢাবিতে দুই জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে হাজারো দর্শক

উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান। সাক্ষাৎকালে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানিসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাকিস্তান থেকে জি-টু-জি  ভিত্তিতে দুই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

খাদ্য উপদেষ্টা আঞ্চলিক সংযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি হতো, যা সময় ও খরচ দুইই বাড়িয়ে দিত।”

পাকিস্তানের হাইকমিশনার উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতা বাড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর কামরান ডঙ্গল, খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ