একটি গাধার উচ্চতা বা দৈর্ঘ্য কতটা হতে পারে। গড়ে ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি থেকে ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা একটি গাধা উচ্চতা ও লম্বায় অন্য সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জীবিত গাধাটির নাম ডাইনামিক ডেরিক। এটি যুক্তরাজ্যের লিংকনশায়ারের হাটোফ্টের র‍্যাডক্লিফ ডঙ্কি স্যাংচুয়ারিতে রয়েছে।

ইতিমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ডেরিক পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জীবিত গাধার খেতাব অর্জন করেছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে যাচাই করা তথ্য অনুযায়ী, খুর থেকে কাঁধ পর্যন্ত দৈত্যাকার ডেরিকের উচ্চতা ১৬৭ সেন্টিমিটার (৫ ফুট ৫ ইঞ্চি)। এই উচ্চতা তার প্রজাতির গড় উচ্চতার চেয়ে প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বেশি।

র‍্যাডক্লিফ স্যাংচুয়ারির মালিক ট্রেসি গার্টন মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, কেউ বিশ্বাস করতে চায় না যে সে একটা গাধা। এত বড় হওয়ার কারণে অনেকে তাকে খচ্চর মনে করে।

গাধার গড় উচ্চতার তুলনায় ডেরিক রাজকীয় এক উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই আকার সে পেয়েছে বংশগতভাবে তার মা–বাবার বদৌলতে। তার মা এলির উচ্চতা ৫ ফুট ১ দশমিক ৭ ইঞ্চি এবং বাবা লুইসের উচ্চতা ৫ ফুট ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি।

জানা যায়, ২০১২ সালে উদ্ধার হওয়া ডেরিকের মা এলিও তার অস্বাভাবিক উচ্চতার জন্য বেশ সাড়া ফেলেছিল। তার অসাধারণ বংশগত বৈশিষ্ট্য, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও প্রচুর উচ্চমানের খাবার—এগুলোই সম্ভবত ডেরিককে যথেষ্ট বড় হতে সাহায্য করেছে। এ কারণেই ডেরিক টেক্সাস-জাত রোমুলাস থেকে এই খেতাব ছিনিয়ে নিতে পেরেছে।

ডেরিক লম্বা হতে পারে। তবে এই বিশাল হৃদয়ের প্রাণীটির স্বভাব খুবই শান্ত। সে উপহার পেলে খুব খুশি হয়।

ট্রেসি গার্টন এই গাধাটিকে একটি ‘শান্ত দৈত্য’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সে খুবই আদুরে ও স্নেহময়। ট্রেসি বলেন, ডেরিক সব সময়ই বড় ছিল, জন্ম থেকেই সে বড়।

ডেরিক সাধারণত স্যাংচুয়ারির চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। প্রচুর সুস্বাদু খড় খায়। প্রতি সপ্তাহে সে গড়ে প্রায় ২০০ কেজি খড় খেতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জনসমক্ষে বোরকা নিষিদ্ধে পর্তুগালের পার্লামেন্টে বিল পাস

পর্তুগালের পার্লামেন্ট জনসমক্ষে ‘লিঙ্গ বা ধর্মীয়’ কারণে মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করতে একটি বিল অনুমোদন করেছে। এটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যারা মুখ ঢাকা বোরকা পরেন।

বিলটি গতকাল শুক্রবার পাস হয়েছে। এ বিলটি প্রস্তাব করেছিলেন দক্ষিণপন্থি চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই বিলে পর্তুগালে জনসমক্ষে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিমান, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং উপাসনালয়ে এখনও মুখ ঢাকা বোরকা ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া কাউকে জোরপূর্বক নিকাব পরাতে হলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সংসদীয় কমিটি এখন বিলটি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী ধাপে সাংবিধানিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভোট দিতে পারেন অথবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন। এ বিল আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও সেই ইউরোপীয় দেশগুলোর তালিকায় নাম লেখাবে, যেখানে জনসমক্ষে মুখ ঢাকা বোরকা পরা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে।

বিলটি পাসের সময় পার্লামেন্টে চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা বলেন, “আজ আমরা পার্লামেন্টের নারী সদস্যদের, আমাদের মেয়েদের এই দেশে একদিন বোরকা পরার হাত থেকে রক্ষা করছি। এটি নারীদের ‘বর্জন ও হীনমন্যতার পরিস্থিতির’ শিকার করে। এছাড় এটি আমাদের ‘স্বাধীনতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদা’ এর মতো নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

তবে বামপন্থি দলগুলোর আইনপ্রণেতারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মধ্য-বাম সমাজতান্ত্রিক দলের আইনপ্রণেতা পেদ্রো দেলগাডো আলভেস বলেন, “এই উদ্যোগটি কেবলমাত্র বিদেশিদের লক্ষ্য করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যাদের ভিন্ন ধর্ম রয়েছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ