পাঁচ বছর আগে ধর্মীয় কারণে অভিনয় ছেড়েছিলেন ‘দঙ্গল’ সিনেমা দিয়ে খ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিম। দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার দীর্ঘ বিরতির পর ইনস্টাগ্রামে ফিরে সবাইকে চমকে দিলেন তিনি—জানালেন বিয়ের খবর। খবর মিড ডের

‘দঙ্গল’ থেকে আলোচনার কেন্দ্রে
২০১৬ সালে আমির খানের ব্লকবাস্টার ‘দঙ্গল’-এর মাধ্যমে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন জাইরা ওয়াসিম। ছবিতে কুস্তিগির গীতা ফোগাটের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে একলাফে পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর অভিনয় করেন ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ও ‘দ্য স্কাই ইজ পিংক’-এ, যেখানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয় সমালোচক ও দর্শকদের কাছে।

তবে খ্যাতির শীর্ষ মুহূর্তেই ২০১৯ সালে এক আবেগঘন পোস্টে জাইরা ঘোষণা দেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর কাজের দ্বন্দ্ব হচ্ছে, তাই তিনি চলচ্চিত্রজগৎ থেকে সরে যাচ্ছেন।

এই ছবি পোস্ট করে বিয়ে খবর জানিয়ছেন জাইরা ওয়াসিম। ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জনসমক্ষে বোরকা নিষিদ্ধে পর্তুগালের পার্লামেন্টে বিল পাস

পর্তুগালের পার্লামেন্ট জনসমক্ষে ‘লিঙ্গ বা ধর্মীয়’ কারণে মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করতে একটি বিল অনুমোদন করেছে। এটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যারা মুখ ঢাকা বোরকা পরেন।

বিলটি গতকাল শুক্রবার পাস হয়েছে। এ বিলটি প্রস্তাব করেছিলেন দক্ষিণপন্থি চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই বিলে পর্তুগালে জনসমক্ষে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিমান, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং উপাসনালয়ে এখনও মুখ ঢাকা বোরকা ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া কাউকে জোরপূর্বক নিকাব পরাতে হলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সংসদীয় কমিটি এখন বিলটি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী ধাপে সাংবিধানিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভোট দিতে পারেন অথবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন। এ বিল আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও সেই ইউরোপীয় দেশগুলোর তালিকায় নাম লেখাবে, যেখানে জনসমক্ষে মুখ ঢাকা বোরকা পরা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে।

বিলটি পাসের সময় পার্লামেন্টে চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা বলেন, “আজ আমরা পার্লামেন্টের নারী সদস্যদের, আমাদের মেয়েদের এই দেশে একদিন বোরকা পরার হাত থেকে রক্ষা করছি। এটি নারীদের ‘বর্জন ও হীনমন্যতার পরিস্থিতির’ শিকার করে। এছাড় এটি আমাদের ‘স্বাধীনতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদা’ এর মতো নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

তবে বামপন্থি দলগুলোর আইনপ্রণেতারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মধ্য-বাম সমাজতান্ত্রিক দলের আইনপ্রণেতা পেদ্রো দেলগাডো আলভেস বলেন, “এই উদ্যোগটি কেবলমাত্র বিদেশিদের লক্ষ্য করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যাদের ভিন্ন ধর্ম রয়েছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ