সিলেটে মোটরসাইকেলে এসে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
Published: 16th, November 2025 GMT
সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে গতকাল শনিবার রাতের দুটি ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে, শনিবার রাতে দুটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে। তারা মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে। পরে হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে হুডি পরা ছিল।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা সদস্য জুনাইদ জানান, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল রাত ৩টা ১৫ মিনিটে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে ফিরে আসেন। অন্যদিকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে আজ রোববার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ফিরে আসেন।
আজ সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ব ত তর
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক: মেজর (অব.) হাফিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক। সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে দেশের অর্থ লুট করেছেন। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন। এমনকি তাঁর এক মন্ত্রীর লন্ডনে ৩৬০টি বাড়ি রয়েছে—যা প্রমাণ করে দেশে উন্নয়নের নামে কী পরিমাণ লুটপাট হয়েছে।’
আজ শনিবার দুপুরে ভোলার লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দলীয় মনোনয়নপরবর্তী গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে। জুলাই সনদে আমরা যে বিষয়ে স্বাক্ষর করেছি, তা মেনে চলব। নতুন কোনো দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে না।’ তিনি জানান, ছয় মাস আগেই দল তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছিল, তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। ৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়।
সভায় উপস্থিত নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন? আমি কি নির্বাচন করব?’ জবাবে উপস্থিত নেতা–কর্মী ও জনগণ দুহাত তুলে তাঁকে সমর্থন জানান।
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল আজীজ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি সাদেক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রমুখ।