ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অকৃতজ্ঞ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ অবসানে মার্কিন প্রচেষ্টার প্রতি জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের কোনো কৃতজ্ঞতা নেই বলে রবিবার এক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

গত সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ২৮ দফা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের শান্তি পরিকল্পনায় এমন কিছু প্রস্তাব রয়েছে যা কিয়েভ এর আগে বাতিল করে দিয়েছিল। যেমন: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর আকার কমানো এবং ন্যাটোতে যোগদান না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। ওয়াশিংটন কিয়েভকে শান্তি পরিকল্পনাটি গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছে। এই পরিকল্পনায় রাশিয়াকে অনেক সুবিধা দেওয়ায় হয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা।

ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ইউক্রেনের নেতৃত্ব আমাদের প্রচেষ্টার জন্য শূন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।”

তিনি লিখেছেন, “আমি এমন একটি যুদ্ধ উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি যা কখনো হওয়া উচিত ছিল না, এমন একটি যুদ্ধ যা সবার জন্য ক্ষতিকারক, বিশেষ করে লাখ লাখ মানুষ যারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে মারা গেছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা বাংলাদেশকে গাড়ির সম্ভাবনাময় বাজার ভাবছে

কানাডা অটোমোটিভ তথা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের নতুন বাজার খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে। দেশটির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার (ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) ও চিফ ট্রেড কমিশনার সারা উইলশো আজ রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন।

ডিসিসিআইয়ের গুলশান সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালেম সোলায়মান ও পরিচালকগণ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, কাউন্সিলর ও সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারা উইলশো বলেন, অটোমোটিভ শিল্প এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত—উভয় ক্ষেত্রেই কানাডার শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশকে বৈশ্বিকভাবে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নয়নে সহায়তা করতেও আগ্রহী কানাডা।

সারা উইলশো আরও বলেন, কানাডার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায় এবং কানাডার অধিকাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) যুক্তরাষ্ট্রে যায়। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডাও সবচেয়ে বেশি এফডিআই পেয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে রপ্তানি, রপ্তানির বাজার এবং পণ্যের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা জরুরি। এ ছাড়া শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন খাতেও দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২২২ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ৯০ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি ছিল ১৩২ কোটি ডলার।

রাজিব এইচ চৌধুরী আরও বলেন, কানাডা বাংলাদেশের ২০তম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে কানাডার মোট বিনিয়োগ ১৩ কোটি ২৮ লাখ ডলারের বেশি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল অবকাঠামো, স্মার্ট লজিস্টিকস পরিষেবা ও কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা—এসব খাতে কানাডার উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প, সাইকেল, তৈরি পোশাক, সিরামিকস, ফার্নিচার, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত খাদ্যপণ্য, সফটওয়্যার ও বিপিও সেবা ইত্যাদি আরও বেশি পরিমাণে আমদানি করতে পারে কানাডা।

কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, দুই দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে হলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। কানাডা বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি সহায়তা, ভকেশনাল ট্রেনিং, নার্সিং, অ্যাগ্রো-টেক শিল্প ও ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশে কাজ করতে চায় কানাডা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ