‘সিলেটের জকিগঞ্জ এবং কানাইঘাট উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী শুধু এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন না, তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখে চলেছেন।’ 

শনিবার জকিগঞ্জের পরচক মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই উপজেলার শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে চলতি বছরে বৃত্তির সিলেবাস বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

সভায় জানানো হয়, আগামী নভেম্বরে দুই উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য পেনশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

ট্রাস্টের সহসভাপতি এটিএম সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাহিম আল্ ইসহাক চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমার চিন্তা-চেতনা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে। অতীতের সাফল্য আমাদের প্রেরণা দিচ্ছে। এক দিন দুই উপজেলা হবে শিক্ষার জনপদ। এ সময় ফাহিম শিক্ষকদের জন্য পেনশনেরও ঘোষণা দেন।

ট্রাস্টের সচিব মো.

শাব্বির আহমদের পরিচালনায় অতিথি ও শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. সাদিউল ইসলাম, সমাজসেবক এখলাছুর রহমান, শিক্ষক ওমর ফারুক, স্কাউট নেতা কামরুজ্জামান, শিক্ষক নেতা আব্দুস শহিদ তাপাদার, হোসাইন আহমদ, অদম্য নারী হালিমা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এম এ মালেক চৌধুরী, কুতুব উদ্দিন, আজহার উদ্দিন, এনামুল হক, মহি উদ্দিন হায়দার, আলতাফ হোসেন সাকিব, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস সবুর, কেএম মাহমুদ প্রমুখ। 

সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সিলেবাস ও আগামী বৃত্তি পরীক্ষা বিষয়ে পরামর্শ দেন। সভায় স্কুল শিক্ষক ও অদম্য নারী হালিমা বেগমকে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। 

সভায় দু্ই উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিনশ’ শিক্ষক ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট দুই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও মানবসেবার পাশাপাশি গত বছর থেকে বৃত্তি চালু করেছে। প্রথমবার দুই উপজেলার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ হ ম আল চ ধ র দ ই উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে নগদে চাকরি দেওয়া নিয়ে যা বললেন ফয়েজ আহমদ

মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ শনিবার বিকেলের দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি অভিযোগ স্বীকারে করে পোস্ট দেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাকে এবং তার মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী।

পোস্টে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এ দেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না—এই আস্থাটা আমার ওপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ডরকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনা বাক্যে স্বীকার করছি। তাঁকে প্রচণ্ডরকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি। নগদের অ্যাক্টিং সিইও এই বিষয়ে প্রেস রিলিজে বলবেন।’

মানবজমিনের প্রতিবেদনে ফয়েজ আহমদ এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রসঙ্গ আসা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘তাঁদের অন্যায়ভাবে টেনে আনা হয়েছে। নগদের আগের সরকারের লোকজন অর্থ হাতিয়েছেন; কিন্তু দায় তাঁদের ওপর চাপানো হয়েছে।’ মিথ্যা সাংবাদিকতা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, ‘আমরা সংবাদকর্মীদের কাছে জেনেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষ এজেন্সিকে দিয়ে ১৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর আগে তারা কিছু টিভি স্টেশনকেও অ্যাপ্রোচ করেছিল। দেশের শীর্ষ ফ্যাক্টচেকার এবং ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এক্সপার্ট সেটা এক্সপোজও করেছেন। নগদে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক বসানোর পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিএমজি-কে দিয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট করাচ্ছে (অভিযোগ আছে কেপিএমজি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট)।’

নগদকে বাঁচাতে কাজ করছেন উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘শাফায়াত গং এখানে হেভিওয়েট ব্যারিস্টার নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এই দায়ও আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। একটা অস্থিতিশীল সময়ে ডাকের লাইসেন্সে, রেগুলেটরের গাইডলাইনে, টপ এক্সপার্টদের ম্যানেজ সার্ভিসে আনা গেলে নগদ ভালো চলবে—এটাই ডিও লেটারে লিখেছি।’

গতকাল শুক্রবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নগদের ‘অনিয়ম’ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ফয়েজ আহমদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে অফিস করেন। পাশাপাশি নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে একটি পদে চাকরিও দিয়েছেন। এ সংবাদের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবে: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের রাখা বিরাট ভুল হয়েছে: মেজর হাফিজ
  • ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা প্লাবিত, পানিবন্দি লাখ মানুষ
  • ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে নগদে চাকরি দেওয়া নিয়ে যা বললেন ফয়েজ আহমদ
  • হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে চায় সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা
  • প্রধান উপদেষ্টা আবার ডেকেছেন, আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও ‘কাজের খবর নেই’
  • ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা আবার ডেকেছেন, এভাবে সংস্কারের কলা দেখানো হচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • সাগরে নিম্নচাপ: বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা বিঘ্নিত
  • বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা বিঘ্নিত