জকিগঞ্জ-কানাইঘাটবাসীর জন্য আলোকবর্তিকা ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট
Published: 31st, May 2025 GMT
‘সিলেটের জকিগঞ্জ এবং কানাইঘাট উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী শুধু এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন না, তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখে চলেছেন।’
শনিবার জকিগঞ্জের পরচক মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই উপজেলার শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে চলতি বছরে বৃত্তির সিলেবাস বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী নভেম্বরে দুই উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য পেনশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাস্টের সহসভাপতি এটিএম সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাহিম আল্ ইসহাক চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমার চিন্তা-চেতনা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে। অতীতের সাফল্য আমাদের প্রেরণা দিচ্ছে। এক দিন দুই উপজেলা হবে শিক্ষার জনপদ। এ সময় ফাহিম শিক্ষকদের জন্য পেনশনেরও ঘোষণা দেন।
ট্রাস্টের সচিব মো.
সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সিলেবাস ও আগামী বৃত্তি পরীক্ষা বিষয়ে পরামর্শ দেন। সভায় স্কুল শিক্ষক ও অদম্য নারী হালিমা বেগমকে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
সভায় দু্ই উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিনশ’ শিক্ষক ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট দুই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও মানবসেবার পাশাপাশি গত বছর থেকে বৃত্তি চালু করেছে। প্রথমবার দুই উপজেলার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ হ ম আল চ ধ র দ ই উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব