চোয়ালে কলম ধরে পরীক্ষা, জিপিএ-৫ পেয়ে জিতুন জিরার চমক
Published: 10th, July 2025 GMT
যশোরের মনিরামপুরের লিতুন জিরার দুই হাত আছে কনুই পর্যন্ত। তাই, কলম ধরতে হয় চোয়ালে চেপে। শারীরিক এ প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি তাকে। অদম্য এ কিশোরী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
লিতুন জিরা মণিরামপুর উপজেলার সাতনলা খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির মেয়ে। গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত লিতুন জিরার পরিবার।
জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিতুন জিরা জানিয়েছে, সে আরো ভালোভাবে লেখাপড়া করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।
হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট লিতুন জিরা। বড় ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
লিতুন জিরা পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) ও জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে সে। ক্লাসে সেরা হওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় লিতুন জিরা। এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ বা পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমেও উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে সে। তার একাগ্রতা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মেনেছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, “নলছিটিতে চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস