2025-06-06@23:15:34 GMT
إجمالي نتائج البحث: 20

«ব পৎস ম র শ ন য দশম ক»:

    সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ দুটি নদীসহ জেলার প্রতিটি নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে ভারতে বৃষ্টিপাত কমায় পাহাড়ি ঢল কমেছে। স্বাভাবিক কারণেই আমাদের এখানেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাবে। তাই নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫১ মিটার ওপরে। অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৭...
    টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলের পানিও বাড়ছে। এতে ফসলি জমিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।  শুক্রবার (৬ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানির সমতল ১২ দশমিক ২৭ মিটার, যা বিপৎসীমার (১২ দশমিক ৯০ মিটার) নিচে রয়েছে। অপরদিকে, কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে (১৩ দশমিক ৯৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীতে ২৮৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৩০৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনায় দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে...
    সুনামগঞ্জে মাঝে বৃষ্টি কিছুটা কমায় মানুষের মনে যে স্বস্তি উঁকি দিয়েছিল, বুধবার রাতের ভারী বৃষ্টিতে সেই স্বস্তির রেশ কেটে গেছে। তার বদলে ‘ছোট-বড় যা–ই হোক এবার একটা বন্যা হয়ে যেতে পারে’, এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।তবে সুনামগঞ্জে এখন যে পরিস্থিতি এটি বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, আবার ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি বাড়ছে। তবে এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।১৫ দিন ধরে টানা কখনো হালকা, কখনো মাঝারি আবার কখনো টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে। মানুষজন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেছিলেন এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় হয়তো দিন ভালো থাকবে। কিন্তু মানুষ এখন আশাহত। বরং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, এই আশঙ্কায় আছেন। গত বছর ঈদুল আজহার সময়েও সুনামগঞ্জে বন্যার ভোগান্তিতে ছিলেন মানুষ।সদর উপজেলার ইসলামপুর...
    সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে সুরমাসহ জেলার প্রায় সব নদীর পানি বেড়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলাজুড়ে ভারী বর্ষণ না হলেও থেমে থেকে ঝরছে বৃষ্টি। একই সঙ্গে উজানের ঢলও অব্যাহত আছে। এতে জেলার নদ-নদী ও হাওর পানিতে টইটুম্বুর। এখন আবার ভারী বৃষ্টি হলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি কমলেও সুরমা নদীর পানি বাড়ছে০৩ জুন ২০২৫তবে আপাতত স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, সুনামগঞ্জ ও উজানের ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হয়েছে।সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৯৮ মিটার। একই স্থানে গতকাল সকাল...
    টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে ফুলজোড়, করতোয়া, হুরাসাগরসহ চরের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। নদীতে দ্রুত পানি বাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক।  বুধবার (৪ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৮ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)।   অপরদিকে, জেলার কাজিপুরের মেঘাইঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.০০ মিটার)। জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে আগাম বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফসলও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়...
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। প্লাবিত হওয়া সীমান্তবর্তী ১৯টি গ্রামের পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়া নদীর ভারত সীমান্তে ১২৯ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়েছে। আর স্থলবন্দরের ব্যবসা কার্যক্রমসহ যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ১৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে পানিবন্দী ৫১১ পরিবারের হাজার ৪৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। পানিবন্দী পরিবারের জন্য ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।গত শনিবার রাত থেকে উপজেলায় পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে আখাউড়ার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলে পানি বেড়ে চলেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আবদুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাঙ, বাউতলা দিয়ে...
    সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল থামেনি। ফলে নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম ও রাস্তা এখনো প্লাবিত রয়েছে। গতকাল সোমবার জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার প্লাবিত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে পানি পুরোপুরি নেমে গেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আগের দিনের মতো পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৬৯ মিটারে অবস্থান করছিল,...
    সুনামগঞ্জে গতকাল রোববার রাতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। এতে নদী ও হাওরে পানি স্থিতিশীল আছে। টানা তিন দিনের অতি বৃষ্টির পর গতকাল রাতে বৃষ্টি কম হওয়ায় মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে।সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় (যে স্থানে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা মাপা হয়) আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৮৬ মিটার। একই স্থানে গতকাল সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৮৭ মিটার। এখন পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচে আছে। বর্ষা মৌসুমে এখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।পাউবো সূত্রে আরও জানা গেছে, সুনামগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় ১২৫ মিলিমিটার। চেরাপুঞ্জিতে এই...
    সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জেলার কয়েকটি নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল।কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি ১৩ দশমিক ৫৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৯ মিটার ওপরে। কুশিয়ারার অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৭ দশমিক ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৬ মিটার ওপরে। শেওলা পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৫ মিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জে ৯ দশমিক ৬৮ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৩ মিটার ওপরে...
    হবিগঞ্জে কালনী, কুশিয়ারা ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের ফলে জেলার নদীগুলোর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। খোয়াই নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পুরো বাঁধটি যদি ধসে পড়ে, তবে আশপাশের অর্ধশতাধিক এলাকা প্লাবিত হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (১ জুন) দুপুর পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি ২১ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ৫ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতায় ছিল, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৪৪ সেন্টিমিটার বেশি। আরো পড়ুন: ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস ...
    টানা বৃষ্টি ও উজান থেমে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিভিন্ন নদী ও হাওরের পানি দ্রুত বাড়ছে। এরমধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। পাউবো জানায়, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে আজ সকাল ও দুপর থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে ও বিকেল ৩টায় ১৩ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর। একইভাবে কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উপর। একই নদীর শেওলা...
    সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে নদী ও হাওরের পানি বাড়ছে। গতকাল শনিবার রাতেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত আছে। জেলা শহরের পাশে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এ সময় জেলায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার নদ-নদী ও হাওরের পানি বাড়ছে। আগামী কয়েক দিনও একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস আছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছিল ৪১০ মিলিমিটার। এই ঢলের পানি ভাটিতে নামলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।পাউবোর তথ্যমতে, রোববার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর...
    সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে সিলেটের দুটি নদীর দুই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। নগরের ভেতরে অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি জমেছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৪৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭১ মিটার ওপরে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৩ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৩ মিটার ওপরে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার লোভা, সারি-গোয়াইন ও ধলাইসহ সব কটি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সারি ও ডাউকি নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ সামান্য কমেছে।এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত...
    তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে। এরইমধ্যে গোয়াইনঘাট-রাধানগরের সড়কসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয় ১৩২ মিলিমিটার। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদীর পানি। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সবার আগে।  শনিবার সকাল থেকে গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের কিছু অংশের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে। এতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। লোকজন পানি ডিঙিয়ে যাতায়াত করছে। এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি তলিয়ে গেছে পানিতে। পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে পানি বাড়ার কারণে সেখানকার পর্যটনকেন্দ্র...
    সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। জেলা শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৯০ সেন্টিমিটার। এ সময় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৭১ মিলিমিটার।সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, দুদিন ভারী বৃষ্টি হওয়াতে জেলার নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। তবে হাওরে এখনো পানি কম আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে একইভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ভাটিতে নামলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় (যেখানে পানি পরিমাপ করা হয়) আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৭৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ২ মিটার নিচে। গতকাল...
    নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সমকালকে জানান, টানা বর্ষণ এবং ভারত থেমে আসা পানিতে গোমতীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়,  শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১০৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৮১ মিটার। যদিও বিপৎসীমা নির্ধারিত আছে ১১ দশমিক ৩০ মিটার। নদীর পানির উচ্চতাসীমা এখনও বিপৎসীমার ৪.৪৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভারী...
    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় সিলেটে ১২৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।এদিকে সিলেটের দুটি সীমান্ত এলাকা গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বেলা তিনটা পর্যন্ত সিলেটের কোনো নদ–নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এরপরও দুই উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পাউবো সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সব নদ–নদীর পানি বেড়েছে। কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের পানি ইসলামপুর পয়েন্টে আজ বেলা তিনটায় ১০ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেটি ছিল ৭ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার।...
    সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা ঢলে জেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বেড়েছে। আগামী তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৭১ মিলিমিটার। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হচ্ছে, তবে সেটি স্বাভাবিক মাত্রায়। মূলত চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হলে ভাটির সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নামে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৮৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার নিচে। বর্ষা মৌসুমে এখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।এ ছাড়া জেলার পাটনাই, কুশিয়ারা, নলজুর, চেলা, চলতি, রক্তি, বৌলাই, খাসিয়ামারাসহ সব নদ–নদীর পানি বেড়েছে।...
    টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা কমছে। তবে বৃষ্টির পানি ও নিষ্কাশনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে।সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় আরও ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন সিলেটের আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে,...
    থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি এবং সীমান্ত নদীতে পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এমন পরিস্থিতিতে শেরপুর, নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ মাসের শেষ দিকে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দু-তিন দিন ধরে ঢাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে আজ বুধবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে গতকাল দিনভর বৃষ্টিতে বোরো ধান, আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, বুধবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে; রোদের দেখা মিলবে। এর পর ২৭...
۱