রাজশাহীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মা নদীর পানি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিপৎসীমা থেকে মাত্র ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এ অবস্থায় শহরের টি-বাঁধে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে দোকানপাট।

টি-বাঁধটি অবস্থিত নগরীর পুলিশ লাইন্স-সংলগ্ন শ্রীরামপুর এলাকায়। প্রমত্তা পদ্মার স্রোত সরাসরি শহরের অন্যান্য এলাকায় যেন না লাগে, সেজন্য ইংরেজি ‘টি’ বর্ণের আদলে এ বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। টি-বাঁধের একপাশে স্রোত ধাক্কা দিয়ে পানি আবার গভীর পদ্মার দিকে চলে যায়। এর ফলে শহরের বড় একটি এলাকা রক্ষা পেয়ে থাকে।

এই এলাকায় রোজ তিনবেলা পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপ করেন পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৬টায় এ এলাকায় তিনি পানির উচ্চতা পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৩২ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার। রাজশাহী শহরে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সে অনুযায়ী বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। 

আরো পড়ুন:

বেড়িবাঁধের দাবিতে অভিনব সংবাদ সম্মেলন

চারদিন পর চন্দ্রঘোণা-রাইখালী ফেরি চলাচল শুরু

তিনি জানান, গত জুলাই থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে রোজ ১০, ১৫ ও ২০ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে।

এনামুল হক আরো জানান, প্রতিবছরই পানি বাড়লে টি-বাঁধের ক্ষতির আশঙ্কায় সেখানে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবারও বন্ধ করা হয়েছে। সকালে তিনি খেয়াল করেননি। সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা পরিমাপ করতে গিয়ে দেখেন যে, টি-বাঁধের গেট বন্ধ করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে টি-বাঁধে থাকা ছোট ছোট ভাসমান দোকানগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পানি কমলে আবার সবাই টি-বাঁধে যেতে পারবেন।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ব পৎস ম এল ক য় পদ ম র

এছাড়াও পড়ুন:

নাঙ্গলকোটে বিএনপির সম্মেলন, ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন করা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও বিদ্যালয়-মাদ্রাসায় আসে। কিন্তু, মাঠে সম্মেলনের মঞ্চ, মাইকের আওয়াজ ও শত শত নেতাকর্মীর ভিড় দেখে শিক্ষকরা ক্লাস বন্ধ করতে বাধ্য হন। কিছু বিদ্যালয়ে সকালে কয়েক ঘণ্টা ক্লাস হলেও পরে মাইকের আওয়াজ ও ভিড়ের কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে গণঅভ্যুত্থানবিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন

যোগ্য হয়েও রাবির শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ডাক না পাওয়ার অভিযোগ

ক্লাস বন্ধ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো—আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলাইন বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলাইন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বটতলী ইউনিয়নের বটতলী এম এ মতিন উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ আলিম মাদ্রাসা, বক্সগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা বাজার সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসা এবং জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের দুয়ারিয়া জা’মিউল উলূম কওমী মাদ্রাসা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫ ইউনিয়নের সম্মেলনের তারিখ ১২ ও ১৩ আগস্ট। এর মধ্যে প্রথম দিনে সাত ইউনিয়নের সম্মেলন হয়। দৌলখাঁড় ও আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের সম্মেলন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে হলেও বাকি পাঁচ ইউনিয়নের সম্মেলন হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে। একই মাঠে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেছেন,“নাঙ্গলকোটে যে প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন সম্মেলন হচ্ছে, তা দলীয় গঠনতন্ত্রের বিরোধী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দলীয় কার্যক্রম করার বিধান আমাদের দলে নেই। এটি দলের বদনাম করার শামিল। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে অবহিত করব।”

নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “বিএনপির ইউনিয়ন সম্মেলনের কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কিছু সময় ক্লাস চালিয়ে পরে ছুটি দিয়েছে।”

নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেছেন,“বিষয়টি আমার জানা ছিল না। রাজনৈতিক সভার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রুবেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ