সিলেটে দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নগরে জলাবদ্ধতা
Published: 1st, June 2025 GMT
সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে সিলেটের দুটি নদীর দুই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। নগরের ভেতরে অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি জমেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৪৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭১ মিটার ওপরে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৩ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৩ মিটার ওপরে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার লোভা, সারি-গোয়াইন ও ধলাইসহ সব কটি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সারি ও ডাউকি নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ সামান্য কমেছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। নগরের উপশহর, চৌকিদেখি, মেজরটিলা, মিরাবাজার, যতরপুর, সাগরদিঘিরপারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকেছে। তবে সকাল ১০টা নাগাদ বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় বিভিন্ন এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে।
ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার আশঙ্কা থাকায় আগেভাগেই আসবাবপত্র নিয়ে শহরের বাসা ছাড়ছে একটি পরিবার। নগরের কিনব্রিজ এলাকায় আজ সকাল ১০টার দিকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ভ ন ন এল ক ব পৎস ম র র ওপর নগর র দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ছে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা
আগামী অর্থবছর থেকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। এর মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং মা ও শিশু সহায়তার মাসিক ভাতা ৫০ টাকা করে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মাসিক ভাতা ১০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নতুন বাজেটে।
গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য কমানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ জন্য এবারের বাজেটে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং মাথাপিছু বরাদ্দ উভয়ই বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মাসিক ভাতা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া মাসিক ভাতার হার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন
অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে গত জানুয়ারি থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৫৭ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারকে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমেও পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ পাঁচ মাস থেকে ছয় মাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এই কর্মসূচিতে বর্তমানে ৫০ লাখ পরিবার সহায়তা পায়। আরও ৫ লাখ পরিবারকে এর আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ দাঁড়াবে ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাজেট নথিপত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক সুরক্ষার আওতায় কর্মসূচি ৯৫ টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় এমন ৪৫ কর্মসূচি এ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ১৪০টি কর্মসূচির বিপরীতে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।