হবিগঞ্জে কালনী, কুশিয়ারা ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের ফলে জেলার নদীগুলোর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

খোয়াই নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পুরো বাঁধটি যদি ধসে পড়ে, তবে আশপাশের অর্ধশতাধিক এলাকা প্লাবিত হবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (১ জুন) দুপুর পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি ২১ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ৫ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতায় ছিল, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৪৪ সেন্টিমিটার বেশি।

আরো পড়ুন:

ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়ছে 

এর আগের দিন শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার উপরে এবং আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

হবিগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.

একরামুল হক জানান, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের কারণে খোয়াই ও কালনী, কুশিয়ারা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার জায়গাজুড়ে ধস নেমেছে। বাঁধের একপাড়ের কয়েক ফুট অংশ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পুরো বাঁধ ধসে গেলে আশপাশের ৫০টি গ্রাম সরাসরি প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়বে। 

হবিগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, খোয়াই নদীর ৩০ মিটার জায়গাজুড়ে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তা মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ নদ খ য় ই নদ র ব পৎস ম র নদ র প ন র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ