হবিগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বাঁধে ধস
Published: 1st, June 2025 GMT
হবিগঞ্জে কালনী, কুশিয়ারা ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের ফলে জেলার নদীগুলোর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
খোয়াই নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পুরো বাঁধটি যদি ধসে পড়ে, তবে আশপাশের অর্ধশতাধিক এলাকা প্লাবিত হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (১ জুন) দুপুর পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি ২১ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ৫ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতায় ছিল, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৪৪ সেন্টিমিটার বেশি।
আরো পড়ুন:
ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়ছে
এর আগের দিন শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার উপরে এবং আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
হবিগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার জায়গাজুড়ে ধস নেমেছে। বাঁধের একপাড়ের কয়েক ফুট অংশ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পুরো বাঁধ ধসে গেলে আশপাশের ৫০টি গ্রাম সরাসরি প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়বে।
হবিগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, খোয়াই নদীর ৩০ মিটার জায়গাজুড়ে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তা মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ নদ খ য় ই নদ র ব পৎস ম র নদ র প ন র উপর
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল ওয়ালেট সেবার লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকম
পরিশোধ সেবাদানকারী (পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার-পিএসপি) প্রতিষ্ঠান হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের মালিকানাধীন সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেড। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানটির নামে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।
পিএসপি সাধারণত ই-ওয়ালেট বা ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা নামে পরিচিত। এখানে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে গ্রাহক তাঁর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ব্যাংক বা অন্য মাধ্যম থেকে টাকা এনে অনলাইন কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, টিউশন ফি পরিশোধসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারেন। যেমন চীনের আলিপে।
বাংলাদেশে এর আগে আইপে, ডি মানিসহ আটটি প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স পেয়েছে। সমাধান লাইসেন্স পাওয়ায় দেশে মোট পিএসপির সংখ্যা দাঁড়াল ৯টি। এর বাইরে দেশে ১১টি পিএসও বা পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর রয়েছে।
গতকাল সোমবার লাইসেন্স পাওয়া সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেডের মূল কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার আগে গত ৮ আগস্ট পর্যন্ত ছিলেন এ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মো. আশরাফুল হাসান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে দেশের সব ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনের ধারা ৫(৪)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেড’কে শর্তসাপেক্ষে দেশের অভ্যন্তরে পরিশোধ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর সমাধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পিএসপি লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটি অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পাওয়ার শর্ত পূরণ করলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা ঝুলিয়ে রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ২৯ সেপ্টেম্বর সমাধানকে এনওসি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে তাদের পিএসপি লাইসেন্স পাওয়ার পথ সুগম হয়।