যমুনায় বাড়ছে পানি, চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
Published: 4th, June 2025 GMT
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে ফুলজোড়, করতোয়া, হুরাসাগরসহ চরের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। নদীতে দ্রুত পানি বাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক।
বুধবার (৪ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৮ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.
অপরদিকে, জেলার কাজিপুরের মেঘাইঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.০০ মিটার)।
জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে আগাম বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফসলও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন।
সদর উপজেলা কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের কৃষক মজিদ আলী বলেন, “দুইদিন ধরে যমুনা নদীতে যে পরিমাণে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে ফসলও ঘরে তুলতে পারবো না।”
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, “পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার হার অনেক বেশি। আরো দুদিন পানি বাড়বে। তবে এ দফায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।”
ঢাকা/অদিত্য রাসেল/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব পৎস ম দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।