তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে
Published: 15th, August 2025 GMT
নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় ওই পয়েন্টে পানির স্তর ছিল ৫২ দশমিক ১৩ মিটার। গত বুধবার তা বেড়ে হয় ৫২ দশমিক ২২ মিটার ও গতকাল বৃহস্পতিবার ৫২ দশমিক ৩৩ মিটার। সেখানে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরের ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ডুবে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন চারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। আজও পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, পানি কমতে শুরু করায় যেসব বাড়িঘরে পানি উঠেছিল, সেখান থেকে নামতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ছয়টায় দোয়ানীতে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫১ দশমিক ৯৫ মিটার দিয়ে, আর সকাল ৯টায় ছিল ৫১ দশমিক ৯২ মিটার।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি কমে গেছে, আরও কমবে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ র প ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টার
ঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের নলছিটি থানার বিসিক, প্রতাপ, বরইতলা, ভৈরবপাশা, ষাটপাকিয়া, শ্রীরামপুর, আমিরাবাদসহ সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন মাইলফলকে এসব পোস্টার লাগানো হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি সকলে নজরে আসে।
একাধিক সূত্র জানায়, রাতের আঁধারেই এসব পোস্টার লাগানো হয়। ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়। পাশাপাশি টহলে রয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন টিম। পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।
জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ রাতের আঁধারে পোস্টারিং করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের সাহস নেই প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার, তাই চোরের মতো রাতের আঁধারে পোস্টার লাগিয়েছে।’’
এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঝালকাঠির বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম বলেন, “পোস্টারগুলো কারা লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি অনুসন্ধান করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মহাসড়কে টহল পুলিশ কর্তব্য পালন করছে। হয়তো রাতের আঁধারে কেউ চোখ ফাঁকি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা এ কাজ করেছে, তাদের শনাক্তেরও চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/অলোক/এস