পদ্মা নদীর পানি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঙ্কা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই দিনে নদীর পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী ইমন কল্যাণ দাস সোমবার (১১ জুলাই) সকালে নদ-নদীর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে পানি ২১ দশমিক ৬৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর পাঙ্কা পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ০৫ মিটার। ফলে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারে ৫টি গ্রাম প্লাবিত 

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রাচীন চুনাখোলা মসজিদ

গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলি ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দুলর্ভপুর, উজিরপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে এই পাঁচ ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকরা জানান, তাদের ক্ষেতে রোপা আউশ, ভুট্টা ও শাকসবজি আবাদ রয়েছে। কয়েক দিনে পদ্মা নদীতে টানা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। 

সহকারী প্রকৌশলী ইমন কল্যাণ দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৫ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পদ্মা নদীতে আগামী ২ দিন পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ও পূনর্ভবা নদীতে পানি বাড়ছে। বর্তমানে মহানন্দা নদীতে ১৯ দশমিক ৫৩ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পূনর্ভবা নদীতে ১৯ দশমিক ৬১ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।  

ঢাকা/শিয়াম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ ব পৎস ম র নদ র প ন দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগে

সার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ