ফেনীতে ভিড় বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে, শুকনা খাবার ও পানির সংকট
Published: 10th, July 2025 GMT
বৃষ্টি কমায় ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমেছে নদ-নদীর পানি। জেলার অনেক জায়গা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় দুর্গত মানুষজনের ভিড় বেড়েছে। এ কারণে সেখানে শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ৫০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত দুই দিনের চেয়ে কম। তবে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ডুবে থাকায় তৃতীয় দিনের মতো ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ফেনী জেলা সদরের সঙ্গে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার সড়কপথ দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জানতে চাইলে ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উচ্চ পর্যবেক্ষক) মো.
এদিকে আজ দুপুর ১২টায় মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। তবে আজ তা ১০ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। ভারী বর্ষণ না থাকা ও উজান থেকে ঢলের পানি কম আসায় নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত তিন দিনে সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম অংশের ২০টি স্থান ভেঙে দুই উপজেলার ২৭ গ্রাম প্লাবিত হয়। এর মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় বেড়িবাঁধের ১২টি অংশ ও ফুলগাজী উপজেলার ৮টি অংশ ধসে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা থেকে পানি কিছুটা কমলেও নতুন করে ছাগলনাইয়া ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল রাত পর্যন্ত পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৩১ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলেন। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর গ্রামের বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনীর একাধিক দল । আজ সকালে তোলাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ র প ন পরশ র ম উপজ ল র র ১২ট
এছাড়াও পড়ুন:
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার
আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের অবসরে পাঠিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত সদস্যদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার বিধান মতে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।’
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন- জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার সাহা, শেখ মফিজুর রহমান, মাহবুবার রহমান সরকার, শেখ গোলাম মাহবুব, মজিবুর রহমান, এহসানুল হক, জুয়েল রানা, মনির কামাল, সহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, মো. নাজিমুদ্দৌলা, এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ফজলে এলাহী ভূইয়া, আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, মো. রুস্তম আলী, নুরুল ইসলাম, এ কে এম এনামুল করিম, মোহাম্মদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপরে বর্ণিত বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।