রাজশাহীতে পদ্মার পানি বাড়ায় বাড়ি ছাড়লেন অনেকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি
Published: 13th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে কয়েক দিন ধরে পদ্মার পানি বেড়ে চলেছে। এতে পদ্মার তীরবর্তী নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক শ পরিবার। একই পরিস্থিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। জেলাটিতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রাজশাহী কার্যালয় সূত্র জানায়, রাজশাহীতে পদ্মায় পানি গত মাসের শেষ দিকে বাড়তে শুরু করে। গত রোববার সকাল ৯টায় পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ১৩ মিটার। গত সোমবার সকাল ৯টায় ছিল ১৭ দশমিক ৩২ মিটার। গতকাল মঙ্গলবার বেড়ে হয় ১৭ দশমিক ৪৩ মিটার। আজ বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী শহরের তালাইমারী, কাজলা, পঞ্চবটি, পাঠানপাড়া লালনশাহ মঞ্চ, শ্রীরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নগরের তালাইমারী, শ্রীরামপুর ও পঞ্চবটি এলাকায়। শুধু তা–ই নয়, রাজশাহী শহর থেকে দক্ষিণে চরখিদিরপুর, খানপুর ও বাঘার চক রাজাপুরের বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেছে।
নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় অন্তত ৩০টি পরিবার নতুন করে পানিবন্দী হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে অনেককে বাড়ি ছাড়তে দেখা যায়। এই এলাকার বাসিন্দা মো.
অনেকে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শহর রক্ষা বাঁধে কথা হয় তাহাসীন আলীর সঙ্গে। তিনি ১৮টি গরু শহর রক্ষা বাঁধের নিচে বেঁধে রেখেছেন। তাহাসীন বলেন, তাঁদের বাড়ি এখানেই। বাড়িতে বুকসমান পানি।
শহর রক্ষার জন্য রাজশাহী শহর অংশে টি-বাঁধ ও আই-বাঁধ নামে কয়েকটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এসব এলাকায় পদ্মার পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মাঝনদীর দিকে চলে যায়। এতে শহর অংশে পানির চাপ কম হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে পদ্মা নদীর আই বাঁধ ও টি-বাঁধ এলাকায় ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় অতিবৃষ্টি হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে ফারাক্কা বাঁধের অধিকাংশ জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিন ধীরে ধীরে পানি বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলে আশা করছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বইছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। নারায়ণপুর দারুল হুদা আলিম মাদ্রাসাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ পদ ম র প ন পর স থ ত এল ক য় শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।