Samakal:
2025-07-10@14:19:05 GMT

গোমতীর পানি বাড়ছেই

Published: 10th, July 2025 GMT

গোমতীর পানি বাড়ছেই

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বাড়ছেই। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় গোমতীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এ দিকে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গোমতী চর থেকে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে এবং কেউ কেউ বাধে আশ্রয় নিয়েছেন। 

কুমিল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বুধবার রাতভর ভারতের ত্রিপুরা ও কুমিল্লা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় নদীতে পানি কম বেড়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারো বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই গোমতী নদীতে পানি বাড়ছে। 

পাউবো সূত্র আরও জানায়, কুমিল্লা অঞ্চলের চেয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গত ২ দিন ধরে বেশী বৃষ্টিপাত হয়। তবে বুধবার রাতে বৃষ্টি কম হয়। রাত ১২টার দিকে গোমতীতে পানির প্রবাহ ছিল ৯ দশমিক ৪২ মিটারে। গত ৬ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। গোমতী নদীর এখনও বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোমতী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের লোকজনের মধ্যে বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চরের লোকজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।

পাউবো কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো.

ওয়ালিউজ্জামান আজ সকালে সমকালকে বলেন, ‘টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। খবর পেয়েছি, ত্রিপুরায় বৃষ্টি কমে গেছে। কিন্তু আবারও বৃষ্টি শুরু হলে গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের জন্য হুমকি হতে পারে। জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব হ

এছাড়াও পড়ুন:

কাউখালীর দুর্গম এলাকা থেকে রাউজানের যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার

সন্ত্রাসীর হাতে যুবদল নেতা সেলিম (৪৫) হত্যার চার দিন পর রাঙামাটি জেলার কাউখালী থেকে দিদারুল আলম (৩২) নামে রাউজানের আরও এক যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিদারুল ও সেলিম একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কাউখালীর বেতবুনিয়ার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে। নিহত দিদারুল আলম রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শমসের পাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুলের ৮ ও ১১ বছরের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ১০টায় রাউজানের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফেরেননি দিদারুল। আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে তাঁর লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে শনাক্ত করেন। দিদারুল কখনো সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন, আবার কখনো দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালাতেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত দিদারুল গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সেলিমের সহযোগী ছিলেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন, নিহত দিদারুল তাঁর কর্মী। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার যেসব সন্ত্রাসী যুবদল নেতা সেলিমকে হত্যা করেছেন, তাঁরা দিদারুলকেও হত্যা করেছেন।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কোহিনুর আকতার বলেন, বুধবার রাত ১০টার সময় তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেজবানের দাওয়াত খেতে যান। তখন স্ত্রীকে ফোনে জানান, মোবাইল বন্ধ থাকলে যেন চিন্তা না করেন। রাতেই বাসায় ফিরে আসবেন তিনি। রাতে বাসায় না ফিরলে সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাননি। বিকেলে কাউখালীতে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁর স্বামীর লাশ এটি।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ড কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ