সিলেটে বৃষ্টি কমেছে, নদ-নদীর পানি বাড়লেও বন্যার শঙ্কা নেই
Published: 22nd, May 2025 GMT
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা কমছে। তবে বৃষ্টির পানি ও নিষ্কাশনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে, তবে কোনো পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৫ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জাফলং পয়েন্টে পিয়াইন নদের পানি গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে এবং বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি ও গোয়াইন নদের পানিও কিছুটা বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
বৃষ্টির কারণে সিলেটে বন্যা দেখা না দিলেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথ, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা ও লিচুবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ সকাল ১০টার পর বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
সিলেট নগরের কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢুকে পড়ে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানালেও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ষা মৌসুমের আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিচ্ছন্নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় পানি দ্রুত নামানোর জন্য ড্রেনের ছিদ্র আরও বৃদ্ধি করা এবং ছিদ্রে লাগানো নেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ র প ন ব পৎস ম ন এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা রয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার
হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
মিল্টন সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের বারেক মল্লিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, মিল্টন দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। কখনো অস্ত্রের মহড়া, কখনো চাঁদাবাজি, কখনো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার নিয়মিত কৌশল। গত ৩১ অক্টোবর যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি তাজা ককটেল এবং দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার হয়। তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে মিল্টন মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। র্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে টঙ্গীবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় র্যাব মিল্টনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমাদের রেকর্ডে তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য রয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ