দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাহিল খান। বলা যায়, লাইমলাইটের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। গত বছরের শুরুর দিকে বেলারুশের নাগরিক মেলেনাকে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে আসেন ৪৮ বছরের এই অভিনেতা। এক বছর পর সাহিল জানালেন, তার স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।  

সাহিল তার ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে তোলা এসব ছবির ক্যাপশনে এই নায়ক লেখেন, “খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার স্ত্রী মিলেনা আলেকজান্দ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। চমৎকার এই জার্নির জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন।”

২৬ বছরের ছোট স্ত্রী মেলিনার ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর জানানোর ব্যাপারটি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। অনেকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন, তেমনি অনেকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন।

আরো পড়ুন:

এটা আমাদের সুখের বিবাহবিচ্ছেদ: আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী

গায়িকা নেহা কাক্করকে গ্রেপ্তারের ছবির সত্যতা কী?

পুরাণ রাওয়াত লেখেন, “বিয়ের পরে ধর্মান্তরিত হওয়াটা কি প্রয়োজন ছিল?” পূজা লেখেন, “আপনি যদি সত্যি তাকে ভালোবাসেন, তবে আপনি কেন তাকে ধর্মান্তরিত করলেন! সে যেমন আছে, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করুন।” পোস্ট করা ছবিতে সাহিল খানের গলায় নেকলেস দেখা যায়। তাতে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতীক ‘ক্রস’ রয়েছে। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেতা।

গত বছর বিয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন সাহিল খান। স্ত্রীর বিষয়ে সাহিল খান বলেন, “মিলেনার বয়স এখন ২১ বছর। সে বেলারুশের নাগরিক। সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে। বিয়ের পর খুবই ইতিবাচক অনুভূতি হচ্ছে। এখন বুঝতে পারছি, মানুষ কেন বিয়ে করে। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।”

বয়সের ব্যবধান বাধা হয়নি তাদের সম্পর্কে। বরং বয়সের তুলনায় স্ত্রী অনেক বেশি ম্যাচিউর বলে জানান সাহিল। তার ভাষায়— “মিলেনা খুবই বুদ্ধিমতী আর সংবেদনশীল, ওর বয়স বেশ কম। আমাদের বয়সের পার্থক্য অনেক। তার বয়স ২১ হলেও অনেক তরুণীর চেয়ে মানসিকভাবে বেশি পরিণত এবং খুব শান্ত।”

সাহিল খানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী নেগার খানকে বিয়ে করেন সাহিল। ২০০৫ সালে ভেঙে যায় এই সংসার।

অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে সাহিল খান বলেছিলেন, ‘আমি সিনেমায় অভিনয়ের কাজ পাচ্ছিলাম না। এজন্য দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে। শুধু রিয়েলিটি শোয়ের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম, বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ পেতাম কিন্তু কাজগুলো করি নি। আমি দুর্ঘটনাবশত অভিনেতা হয়েছিলাম। সিনেমাও হিট হয়েছিল। তাই কিছুদিন ক্যারিয়ার ছিল।’

২০০১ সালে ‘স্টাইল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সাহিল খান। সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১০ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।

সাহিল বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। যদিও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ‍মুম্বাইয়ে রয়েছেন। আপাতত ব্যবসায় মন দিয়েছেন বলেও জানান এই অভিনেতা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ