মিয়ানমারের মর্টারশেল ও গুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
Published: 13th, December 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ভেতরে চলমান সংঘর্ষের জেরে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও টানা গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার থেকে একটানা মর্টারশেল নিক্ষেপ ও ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি চলতে থাকে। এসময় বাংলাদেশের ভেতরে কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলি এসে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা জানান, নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘‘আজ শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে পুরো সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’’
স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যং বাজার এলাকার মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস এবং বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, ‘‘মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কয়েকটি বসতঘরে গুলি পড়ার তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’’
ঢাকা/তারেকুর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগুনে পুড়ল জামায়াত নেতার বসতঘর
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লানারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়া বসতঘরটি ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজের।
মো. পারভেজ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বসতঘরটি টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি। রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই ঘুমাতে যাই। সাড়ে তিনটার দিকে দেখি, বাড়িতে আগুন জ্বলে উঠেছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
মো. পারভেজ আরও বলেন, ‘আগুনে আসবাবসহ পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে, বুঝতে পারছি না। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও লাগতে পারে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব। আগুন লাগার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে।’