বিদ্যা সিনহা মিম— রুপালি পর্দা হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, প্রতিটি ফ্রেমেই যেন জীবন্ত। তার হাসি, দৃষ্টি কিংবা নীরবতাও কথা বলে। ব্যস্ত শুটিং আর কাজের চাপে যখন সময় মেলে, তখন মিম ছুটে যান প্রকৃতির কোলে নিজেকে নতুন করে খুঁজে নিতে। এবার সেই খোঁজের ঠিকানা ছিল স্বপ্নের নীল দ্বীপ— মালদ্বীপ।

কাজের দায় থাকলেও এই সফর যেন পরিণত হয় অনুভূতির এক নীল উৎসবে। সমুদ্রের ঢেউ, আকাশের নীরব বিস্তার আর বাতাসের ছোঁয়ায় নিজেকে ভাসিয়ে দেন মিম। কখনো হারিয়ে যান নীল জলরাশিতে, আবার কখনো ফিরে আসেন ভক্তদের হৃদয়ে— ছবি হয়ে, ভিডিও হয়ে, ভাবনার রেশ হয়ে।

সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী। পোস্টে মিম লিখেছেন একটি কবিতা— “সমুদ্র আমাকে শেখায় কীভাবে ভাঙতে হয়, আবার জোড়া লাগতে হয়। কীভাবে গভীর হয়েও শান্ত থাকা যায়। কিছু দুঃখ ঢেউ হয়ে আসে, কিছু স্মৃতি বালুতে মিলিয়ে যায়— আর আমি বুঝে নিই, সব কিছুর শেষ নেই, শুধু রূপ বদলায়।”

এই কথার মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে মিমের জীবনের দর্শন, অনুভব আর নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের গল্প।

এদিকে পর্দায়ও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিম। আগামী বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘মালিক’। ঢাকার বাইরে প্রায় এক মাস সিনেমার শুটিং করেছেন তিনি। পরিচালনায় রয়েছেন সাইফ চন্দন। নায়ক আরিফিন শুভ। চার বছর পর আবার একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শুভ–মিম।

এর আগে তাদের শেষ দেখা গিয়েছিল গোলাম সোহরাব পরিচালিত ‘সাপলুডু’ সিনেমায়।
তবে সিনেমা নিয়ে এখনো মুখ খুলছেন না পরিচালক থেকে শুরু করে নায়ক–নায়িকা কেউই। জানা গেছে, অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমায় শুভ ও মিমকে দেখা যাবে একেবারে নতুন লুকে। চরিত্রের প্রয়োজনে দুজনই নিয়েছেন কঠোর ডায়েট ও ফিটনেস ট্রেনিং।

এর পাশাপাশি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মিম অভিনীত আরও একটি সিনেমা। ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ শিরোনামের এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। শমী কায়সার প্রযোজিত এই সিনেমায় শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম, যা তার ক্যারিয়ারে আরেকটি ভিন্নমাত্রার কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রেকর্ড রান তাড়া করে দুর্দান্ত জয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু বাংলাদেশের

‘চ‌্যাম্পিয়নরা চ‌্যাম্পিয়নদের মতোই খেলল’ - বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের পর এমন কথা নিশ্চিতভাবেই বলাবলি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। 

মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় ২৮৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। শনিবার দুবাইয়ে আফগানিস্তান যুবাদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ‌্য বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ উইকেটে, ৭ বল হাতে রেখে। 

টস জিতে আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে ২৮৩ রান করে। দলের টপ অর্ডার ব‌্যাটসম‌্যান ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজি পায় আফগান যুবারা। লক্ষ‌্য তাড়া করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগের ১৫১ রানের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জাওয়াদ। কিন্তু ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ৯৬ রানে সীমানায় দারুণ এক ক‌্যাচে কাটা পড়ে তার উইকেট। 

এছাড়া রিফাত বেগ ৬২ রান করেন। দুজনের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ৪৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে লক্ষ‌্যের পথে এগিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল সহজ জয় পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু জয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে রিজানের অপরাজিত ১৭ ও পারভেজ হোসেনের ১৩ রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। 

লক্ষ‌্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৩০৭ রান করেও ম‌্যাচ জিতেছে। ইংল‌্যান্ডের বিপক্ষে, ২০২৩ সালে। সেটা ছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। এবার মহাদেশীয় আসরে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল যুবারা। ম‌্যাচ জয়ের নায়ক আবরার ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। 

এর আগে ব‌্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ওপেনার খালিদ আহমেদজাই চতুর্থ ওভারে উইকেটের পেছনে ৩ রানে ক‌্যাচ দেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান সাদাত ও ফয়সাল শিনোজাদা ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ওপেনার উসমান ৩৪ রানে ফিরে আসলেও ফয়সালের ব‌্যাট চলতে থাকে। 

উইকেটের চারিপাশে শট খেলতে থাকেন অনায়েসে। তৃতীয় উইকেটে আবার বড় জুটি পায় আফগানিস্তান। ফয়সালের নতুন সঙ্গী এবার উজায়রুল্লাহ নিয়াজাই। দুজন দলকে টেনে নেন ১৭৫ রান পর্যন্ত। ফয়সাল তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৫৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব‌্যাটসম‌্যান শতরান পেয়েছেন ৯১ বলে। এরপর অবশ‌্য ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৯৪ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রান করে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আউট হন। 

তার সঙ্গী উজায়রুল্লাহ ৬ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ৪৪ রানে থামে তার ইনিংস। সেখান থেকে আফগানিস্তানের ইনিংস বড় করেন আজিজুল্লাহ মিখাইল ও আব্দুল আজিজ। আজিজুল্লাহ ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৮ এবং আব্দুল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন। 

বাংলাদেশের বোলারদের মধ‌্যে ইকবাল হোসেন  ৬৩ রানে ও শাহরিয়ার আহমেদ ৪৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন সাদ ইসলাম, সাইমুন বশির ও রিজান হোসেন।

এশিয়া কাপের হ‌্যাটট্রিক মিশনে বাংলাদেশ। ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পরের ম‌্যাচ নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ